পাকা চুল স্থায়ী কালো হবে ওষুধে!
পাকা চুল ঢেকে রাখতে অবশিষ্ট কাঁচা চুল খুঁজে পাওয়া দায়! স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠতে না উঠতেই অনেকে এ ধরনের সমস্যায় পড়ে যান। নিজেকে যতই পরিপাটি করে উপস্থাপন করতে চান না কেন, চেহারার পুরোনো ভাব দূর হতে চায় না। প্রকৃত বয়সের চেয়ে বেশি বয়স দেখায়। বন্ধুদের আড্ডা বা প্রিয়জনের সামনেও হতে হয় ঠাট্টার পাত্র। অল্প বয়সে এমন চুল পাকার সমস্যা দূর করতে বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয় নেন নানা রকম রাসায়নিক পদার্থে। চুলের রঙ পরিবর্তন সাময়িক স্বস্তি আসলেও দীর্ঘমেয়াদী অস্বস্তি থেকে যায়। তাই এখন আর চুলে রঙ নয়, কেবল ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে চুলের কালো রঙ ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলেই দাবি গবেষকদের।
অল্প বয়সে চুলের এমন রঙ পরিবর্তনকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বলা হয়। ব্রিটেনের ব্রাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কারিন শেলারয়টার এবং উত্তর-পূর্বঞ্চলীয় জার্মানির গ্রিফসওয়াল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দেহের এ প্রক্রিয়া ঠেকানোর ওষুধ আবিষ্কার করেছেন। এফএএসইবি সাময়িকীতে গবেষণাটি পত্রটি প্রকাশ করা হয়।
সাময়িকীর মতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সাদা চুলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নানা ওষুধ বের হয়েছে। কিন্তু কার্যকরী ফল না পাওয়া গেলেও এবার গবেষকরা তাদের আবিষ্কারে সফল হয়েছেন।
বয়স বাড়ার সঙ্গে চুল কেন পাকে তার সঠিক কারণ নির্ণয় করেছেন অধ্যাপক কারিন শেলারয়টার ও তার গবেষক দল। গবেষণা মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের গোড়ায় জমা হতে থাকে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নামের একটি রাসায়নিক উপাদান। চুলের গোড়ায় জমা হওয়া এই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড শেষ পর্যন্ত ব্লিচিং উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং চুলের আসল রঙ নষ্ট করে দেয়।
অধ্যাপক কারিন শেলারয়টার ও তার গবেষক দল এখন চুলের গোড়া থেকে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড সরিয়ে দেওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন। তবে, এ প্রক্রিয়ায় চুলের রঙ সাদা হওয়া পুরোপুরি ঠেকানো যাবে কিনা তা এখনো পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়নি। কারণ অধ্যাপক কারিন শেলারয়টার আবিষ্কার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে শ্বেতী রোগীদের বেলায়
মেলানোসাইট নামে ত্বকে এক জাতীয় কোষকলা আছে। এসব কোষকলা মেলানিন নামে একটি রঞ্জক বা রঙ সৃষ্টিকারী উপাদান তৈরি করে বলেই মানব ত্বকের স্বাভাবিক রঙটি দেখতে পাই। শ্বেতী হলে এই রঙ সৃষ্টি করার উপাদান আর দেহে উৎপন্ন হয় না। এ কারণে ত্বকে একটি অস্বাভাবিক রঙ দেখতে পাওয়া যায়। আর একেই শ্বেতী বলা হয়। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন,তাদের আবিষ্কৃত ওষুধ খাওয়ানোর পর ফিরে এসেছে শ্বেতী রোগে আক্রান্ত রোগীর ত্বক ও চোখের পাপড়ির স্বাভাবিক রঙ।
মন্তব্য চালু নেই