পাঁচ নারীর কারণে আজকের ফেরদৌস !
খ্যাতিমান ব্যাক্তি হয়ে উঠার পিছনে নারীর ভূমিকা বেশি থাকে এটা আমাদের কম বেশি জানা। কন্যা, জায়া, জননী নারীর বিভিন্ন রূপেই অভ্যস্ত সকলে। ব্যতিক্রম নয় তারকারাও। দুই বাংলার চিত্রনায়ক ফেরদৌসের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছেন বিশেষ ক’জন নারীর অবদানে। বর্তমান অবস্থান, প্রতিষ্ঠা ও সাফল্যের পিছনে যে পাঁচ জন নারীর অবদান স্বীকার করলের চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ এর বিনোদন প্রতিবেদক আরেফিন সোহাগকে ফেরদৌস বলেন, আমি আজকের ফেরদৌস হবার পিছনে আমার মা, বোন, বউ, সুচিত্রা সেন এবং একজন মেয়ে বন্ধুর অবদান রয়েছে। বন্ধুদের মধ্যে কখনও নারী পুরুষ এ বিষয়টা ভেদাভেদ করতে চাই না। বন্ধু যদি মেয়ে হয় তাহলে তার উপর অনেক বেশি পরিমানে নির্ভর করা যায়।
ফেরদৌস’র কথার উপর ভিত্তিকরে সংক্ষিপ্ত করে পাঁচ নারীর কিছু কথা তুলে ধরা হল:
মা: আমার কাছে মনে হয় সৃষ্টিকর্তার পরেই মায়ের অবস্থান। মা সবকিছুর উর্দ্ধে। মা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষদের একজন। পৃথিবীতে হাজারো বিপদ একমাত্র মায়ের পক্ষেই আগলে রাখা সম্ভব। যে কিনা অতন্ত্র প্রহরীর মতো। মাকে পৃথিবীর কোন কিছুর সঙ্গেই তুলনা করা যাবে না। সুমধুর মা ডাকটি শুনলে তার প্রাণটি আরো বড় হয়ে যায়। মায়ের জন্য তার সন্তান হাজরো বিপদ-শঙ্কুল পথ পাড়ি দিয়ে তার কাছে হাজির হবে।
বোন: প্রত্যেকটা মেয়ের মধ্যে মাতৃত্বের বিষয়টা আপনা আপনি চলে আসে। আমার ছ্টো দুই বোন এবং বড় একবোন তাদের মধ্যে যেকোন বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া ও অলোচনা করা এ বিষয়টা অনেক বেশি। বোন জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি বিষয়। আমার কাছে মনে হয় মায়ের পরেই বোনের অবস্থান।
স্ত্রী: আমার ঘরে এখন যে স্ত্রী হয়ে আছে সেই আমার স্বপ্নের নারী! ছেলেরা মেয়েদের উপর নির্ভর করতে অনেক বেশি ভালোবাসে। আমার ক্ষেত্রেও এর ভিন্নতা নেই। আমার স্ত্রীই স্বপ্নের নারীর জায়গা অলংকৃত করেছে।
সুচিত্রা সেন: আমি অনেক নায়িকাকেই স্বপ্নে দেখি! ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন আমার স্বপ্নের নায়িকা। এছাড়া স্বপ্নের নায়িকা বলতে অন্যকাউকে ভাবতে পারি না। যার অভিনয় দেখলে বারবার দেখার ইচ্ছে হয়। তার অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করে।
মেয়ে বন্ধু: বন্ধুদের মধ্যে কখনও নারী পুরুষ এ বিষয়টা ভেদাভেদ করতে চাই না। বন্ধু যদি মেয়ে হয় তাহলে তার উপর অনেক বেশি পরিমানে নির্ভর করা যায়। মা এবং বোনের আরেক রূপ হলো বন্ধু। যাদের ভালো মেয়ে বন্ধু আছে তারা অনেক সৌভাগ্যবান। এক্ষেত্রে ক্যারিয়ারের প্রথম দিককার কথা বেশী মনে পড়ে। ছেলেবন্ধুদের থেকে মেয়ে বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক বেশি পরিমানে সহযোগিতা পেয়েছি। একথা বলার কারণে আমার ছেলে বন্ধুরা কষ্ট পেতে পারে, কিন্তু এটাই সত্য।বন্ধুতো বন্ধুই।
মন্তব্য চালু নেই