পাঁচবিবিতে গভীর রাতে ব্যবসায়ীকে পুলিশের হয়রানীর অভিযোগ

তোহা আলম প্রিন্স ॥ পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) : জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে থানা পুলিশ কর্তৃক এক ব্যবসায়ীকে গভীর রাতে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। হয়রানির প্রতিবাদে ব্যবসায়ী বনিক সমিতি নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি পেশ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
বনিক সমিতির সভাপতি ভরত গোয়ালা জানায় গত ১৫ই জুন বুধবার দিবাগত রাত ২-৪৫মি: দিকে থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলামের নির্দেশে এস আই শাহীন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পাঁচবিবি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বালিঘাটা আলিম মাদ্রাসার পিছনে স্মৃতি বেকারীর কারখানায় গিয়ে বেকারীর মালিক মোশারফ হোসেন কে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেন আপনার কারখানাটি বি.এস.টি.আই কর্তৃক অনুমোদিত কিনা তাই আমরা কারখানাটি তল্লাশী করবো। তখন কারখানার মালিক বলেন আমার কারখানাটি বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত। এসময় এসআই শাহিন কাগজ পত্র দেখতে চাইলে কারখানার মালিক তার বৈধ কাগজ পত্র দেখায়। তখন এসআই শাহীন ওসিকে মোবাইল ফোনে বলেন স্যার কারখানাটির কাগজ পত্র সঠিক আছে। কিন্তু ওসি শাহীনকে নির্দেশ দেন কারখানার মালিককে থানায় নিয়ে আসো। তখন এসআই শাহীন কারখানা থেকে সিমাই তৈরির কয়েকটি ফর্মা সহ মালিক মোশারফ হোসেনকে ওই রাতেই থানায় নিয়ে আসে। এখবর সঙ্গে সঙ্গে জানাজানি হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়া কোন পুলিশ কোথাও কোন কারখানা তল্লাশী করতে পারে না। আর রাত প্রায় ২:৪৫মি: দিকে ওসি আশরাফুল বিএসটিআই এর আইন অমান্য করে একজন বৈধ ব্যবসায়ীকে রাতের বেলা বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কিভাবে? এটি কি পুলিশশের বাড়াবারি নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর উদ্দিন আল ফারুকের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়া পুলিশ কিছু কারণে কারখানা সহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারে তবে বেকারীর কাগজপত্র চেক করার জন্য বিএসটিআই এর লোকজনের প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিএসটিআই এর কাগজপত্র দেখার জন্য আমি সেখানে ফোর্স পাঠিয়েছিলাম, কাগজ না দেখাতে পারার কারণে তাকে থানায় নিয়ে এসেছিলাম। এছাড়াও গত ৩০ শে মার্চ গভীর রাতে পাঁচবিবি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মিষ্টি ব্যবসায়ী সঞ্জিতের কারখানায় একই ভাবে বিএসটিআইয়ের লোকজন এবং ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়া তাকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই