পলাশ কুঁড়ির ঔষধি গুণ
পলাশ গাছের প্রধান আকর্ষণ তার ফুল। এই গাছের অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে। চোখের যে কোনও রকম রোগ সারাতে অব্যর্থ পলাশ গাছের শিকড়ের রস। প্রতিদিন সকালে চোখে একফোঁটা এই রস ফেলে চোখের পাতা এক মিনিট বন্ধ করে রাখলে ছানি, রাতকানা রোগের মতো বেশ কয়েকটি সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
পলাশ গাছের ছাল এবং শুকনো আদা (শুঁট) এক সঙ্গে গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে ৪০ মিলিলিটার খেলে হজমের গণ্ডগোল সারে। পেট ফাঁপা, বায়ুবিকার এবং বদহজমে এই দাওয়াই খুব উপকারী।
পলাশের ডাল পুড়িয়ে যে ছাই পাওয়া যায়, তার সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে অর্শজনিত রক্তক্ষরণ দূর হয়। এজন্য প্রতিদিন ১০-২০ গ্রাম ছাইয়ের সঙ্গে আধ চা-চামচ অল্প গরম করা ঘি মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। টাটকা পাতা থেঁতো করে ঘি এবং দইয়ের মাঠা মিশিয়ে নিয়মিত খেলেও অর্শের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়।
পলাশ বীজ গুঁড়ো ও মধুর মিশ্রণ শরীরের যে অংশে গাঁটে ব্যথা হয় তাতে দিলে আরাম পাওয়া যায়। পলাশের কুঁড়ি সংগ্রহ করে ছায়ায় শুকিয়ে নিতে হবে। শুকনো কুঁড়ি গুঁড়ো করে ছেঁকে নিতে হবে। এবার তার সঙ্গে আখের গুড় দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। প্রতি সকালে রোগীকে নয় গ্রাম এই মিশ্রণ খাওয়ালে উপকার হয়। যে কোনও রকম মূত্রজনিত অসুখে এই ওষুধ ফলদায়ী।
মন্তব্য চালু নেই