পর্যটকের ঢল নেমেছে রাঙামাটিতে

ঈদুল আজহা উপলক্ষে পার্বত্য পর্যটন নগরী রাঙামাটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। পাশাপাশি স্থানীয়রাও ছুটছেন বিভিন্ন স্পট ও দর্শনীয় স্থানে। পর্যটকদের পদচারণায় উৎসবমুখর ঝুলন্ত সেতুসহ শহরের আশপাশ এলাকা।

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসংখ্য পর্যটক আসেন রাঙামাটি। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষেও প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটেছে। অতিথিদের ভিড়ে রাঙামাটি পর্যটন মোটেল এখন ঠাসা।

চলতি সপ্তাহজুড়ে বুকিং রয়েছে। মোটেলে ঝুলন্ত সেতুটি সবার কাছে দৃষ্টিনন্দন। অতি বৃষ্টিপাতের কারণে গত বছরের ঈদুল আজহার সময় সেতুটি কাপ্তাই লেকের পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সেতুটি সচল ও দৃষ্টিনন্দিত রয়েছে। তাই পর্যটকরা উৎফুল্ল।

এছাড়াও সুবলং ঝরনা, কাপ্তাই লেকে নৌ-ভ্রমণ, চাকমা রাজার বাড়ি, রাজবন বিহার, ডিসি বাংলো, টুকটুক ইকো ভিলেজসহ বিভিন্ন দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্পট ও স্থাপনাগুলোতে আগত পর্যটকরা পাড়ি দিচ্ছেন।

এদিকে সবুজ পাহাড় আর কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশির হাতছানিতে নৈসর্গিক পার্বত্য জনপদ রাঙামাটি। শরতের স্নিগ্ধ রাঙামাটির প্রকৃতির টানে এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে পাড়ি জমিয়েছেন পর্যটকরা।

রাঙামাটি শহরে সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সের মোটেল ছাড়াও রয়েছে অনেকগুলো ভালোমানের আবাসিক হোটেল। সেগুলোর মধ্যে হোটেল সুফিয়া, গ্রিন ক্যাসেল, আল মোবা, নীডস হিলভিউ উল্লেখযোগ্য। এসব আবাসিক হোটেলে এখনো বুকিং রয়েছে বলে জানান হোটেল প্রিন্সের মালিক ও রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নেছার আহমেদ।



মন্তব্য চালু নেই