পর্নোগ্রাফিতে আগ্রহ বাড়ছে মেয়েদের
সারাদিন মোবাইলে, ল্যাপটপে এই ছাইপাসগুলো দেখে ছেলেরা যে কী সুখ পায়, কে জানে! সেদিন বোধহয় আর খুব দূরে নয়, যখন ছেলেদের কপাল থেকে এ দুর্নাম মুছে যাবে। ছেলেরাই শুধু পর্নোগ্রাফি দেখে, এ ধারণা কিন্তু এবার বদলে ফেলার সময় এসেছে।
যৌনতা নিয়ে আলোচনায় এখন অবাধ প্রবেশ মেয়েদের। অনেক স্বাচ্ছন্দ্য তারা। কী চান, বা চান না স্পষ্ট করে বলতে পারেন। শুধু যৌনজীবন নিয়েই খোলামেলা নয়, অনেকের মোবাইল ফোনের ভিডিও গ্যালারি সার্চ করলে খুঁজে পাবেন নানা ধরনের পর্নোগ্রাফি। গবেষকরা বলছেন, পর্নোগ্রাফি দেখার আগ্রহ মেয়েদের ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, রোজ অনলাইন পর্ন সাইটগুলিতে যাঁরা উকিঝুঁকি মারেন, তাদের একটা বড় অংশ দখল করেছেন ভারতীয় নারীরা। গত কয়েক বছরে মেয়েদের পর্নোগ্রাফি দেখার আগ্রহ বেশ দ্রুত হারেই বেড়েছে।
একটি হেলথ ম্যাগাজিন সূত্রে খবর, নয়াদিল্লির এক নাম করা সাইকিয়াট্রিস্ট মণীশ জৈন জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এমন অনেক নারীই আসেন যাঁদের কাছে পর্নোগ্রাফি দেখা নেশার মতো। আধুনিক বহু সমীক্ষাই বলছে, অনেক সময় দেখা যায়, পর্নোগ্রাফি টিউটোরিয়ালের কাজ করে। পুরুষ শরীর সম্পর্কে মেয়েদের একটা স্বচ্ছ ধারণাও তৈরি হয়। যদিও সব সময় এ যুক্তি খাটে না।
২০০৩ সালে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ৬ জন নারীর মধ্যে একজন নারী পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্ত। ২০০৬ সালে এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৭ শতাংশ নারী বলছেন, তাঁদের পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তি রয়েছে। বর্তমানে তা খাতা-কলমে ৩০ শতাংশ হলেও, স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেটের যুগে তা যে ৩০-এর গণ্ডি ছাড়াতেই পারে তা নিয়ে খুব একটা দ্বিমত হওয়ার কথা নয়।
এক সংবাদসংস্থায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পর্নওয়েবসাইটগুলোয় ৩০ শতাংশই নারী ভিজিটর। নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখেন এমন নারীর সংখ্যাও নেহাত মন্দ নয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, বিকৃত পর্নোগ্রাফির দিকে ঝুঁকে পড়েন অনেকে। তার ফল মারাত্মক হতে পারে। এর প্রভাব শুধু শরীরেই নয়, পড়তে পারে আপনার মনেও। সবসময় খেয়াল রাখা দরকার, স্বাভাবিক যৌনজীবন এবং বিকৃত কামোন্মদনা কিন্তু এক জিনিস নয়। এই দুইকে কখনোই গুলিয়ে ফেলবেন না।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
মন্তব্য চালু নেই