‘পরমাণু বোমার থেকেও ১০০ গুণ শক্তিশালী হয় ভূমিকম্প’!
এই মহান স্রষ্টার সৃষ্টি বড়ই অদ্ভূত। পৃথিবী জুড়ে এমন অনেক কিছুই রয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো ধারণাই আমাদের নেই। বেশি দূরে যেতে হবে না। শুধুমাত্র ‘ঘর হতে দুই পা বাহিরে ফেললেই যে কত সৃষ্টি, কত ঘটনা এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তা-ই অনেক সময় আমাদের গোচরে আসে না। এমনই বহু অজানা-অচেনার খোঁজে আমাদের নিত্য যাত্রা। এখানে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো যা শুনে আপনি সত্যিই তাজ্জব হবেন। এখানে রইলো ভূমিকম্প নিয়ে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
‘ভূমিকম্প’ শব্দটা এখন গোটা সভ্যতার কাছেই একটা আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকদিন অন্তর অন্তরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কম্পনের খবর উঠে আসছে সংবাদের শিরোনামে। শুধু জাপান, ইন্দোনেশিয়াই
নয়, আমাদের দেশেও এখন রীতিমতো ভূমিকম্পপ্রবণ। প্রকৃতির এই রোষানলে পড়ে কীভাবে একটা দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তা দেখিয়ে দিয়েছে নেপাল ও অতি সম্প্রতি ইতালি। ভূমিকম্প সম্পর্কে জেনে নিন এমন কয়েকটি তাজ্জব করা তথ্য, যেগুলি জানলে হাড়হিম হতে বাধ্য।
১. প্রতি বছর ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় ৮,০০০ মানুষের। গত ৪,০০০ বছরের ভূমিকম্পের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষের।
২. হিন্দু পুরাণ মতে, ৭টি বিশাল হাতির উপরে রয়েছে পৃথিবী। সেই হাতিগুলি আবার একটি কচ্ছপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই কচ্ছপটি আবার দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি সাপের কুণ্ডলীর উপর। কোনো একটি প্রাণী যদি একটু সরে যায় বা নড়ে যায়, তখনই ভূমিকম্প হয়। তবে অবশ্য কোরআন মনে এমন কথার কোনো ভিত্তি নেই। এটি মহান আল্লাহরই ইশারা মাত্র। যে জমিনের মানুষ সৃষ্টি কর্তার নাম ভুলে যায় এবং জমিনের ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়, সে জমিনেই মহান আল্লাহ ভূমিকম্প দিয়ে থাকেন।
৩. ১২০১ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটি হয়। তাতে মৃত্যু হয়েছিল ১০ লক্ষ মানুষের। আর সাম্প্রতিক অতীতে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় চিলেতে। ১৯৬০ সালের সেই বিধ্বংসী কম্পনের তীব্রতা ছিল ৯.৫।
৪. ভূমিকম্প শনাক্ত করার যন্ত্র আবিষ্কার করেন চীনা মহাকাশচারী ঝাং হেং। প্রায় ২,০০০ বছর আগে।
৫. ১৯৪৫ সালে হিরোসিমায় যে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল তার থেকে ১০০ গুণ শক্তিশালী হয় একটি ভূমিকম্প। তথ্যসূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া
মন্তব্য চালু নেই