পরকীয়ার জেরে ফতুল্লায় একজন খুন গ্রেফতার দুইজন
পরকীয়ার জেরে আসকর আলী নামের এক তাঁত কারখানার শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ওই কিলিং মিশনে অংশ নেয় ছয়জন। এর মধ্যে দুইজন গ্রেফতার হয়েছে। শনিবার বিকেলে মিনহাজুল ইসলাম ও বাবু ইসলাম নামের দুইজন নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জবানবন্দী গ্রহণ শেষে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ইকবাল হোসেন জানান, আসকর আলীর স্ত্রীর সাথে গ্রামের বাড়ির একই এলাকার আলমগীর হোসেন নামে এক যুবকের পরকীয়া ছিল। এতে আসকর আলী বাধা দেয়। এরপর তিন মাস আগে আলমগীর দুবাই চলে যায়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে খুনিদের ভাড়া করে ৩০ হাজার টাকা ও আসকর আলীর ফোন নম্বর দেয় তাদের। এরপর কৌশলে কেরানীগঞ্জ থেকে আসকর আলীকে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ফতুল্লার বক্তাবলীতে ডেকে আনে খুনিরা। পরে বুড়িগঙ্গার তীরে নিয়ে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর আসকর আলীর লাশ নদীতে ফেলে দেয়। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি লাশ উদ্ধারের পর নিহতের পরিচয় না পেয়ে এসআই আমির হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য চালু নেই