পবায় বিল দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
রাজশাহী: রাজশাহীর পবা উপজেলার দারুশা ইউনিয়নের কর্নহার বড়বিল দখল করাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় দারুশা শাইর পুকুর এলাকার মৃত বাসের মোল্লার ছেলে সাজ্জাদ আলী (৫০), দারুশা বাজার এলাকার মৃত রহিমুদ্দিনের ছেলে উজ্জল (৪৮) ও দারুশা শাইর পুকুর এলাকার সুরমান আলীর ছেলে ওসমান। তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের সকলকে হাসুয়া,লাঠি, তীর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাদের মধ্য সাজ্জাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্নহার বড়বিলকে কেন্দ্র করে ভুমিহীনের ব্যানারে এলাকার জনগণ হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলামের সমর্থকরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই বিবদমান পরিস্থিতি এড়ানোতে সরকারিভাবে পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত বিলের জমি লিজ বা দাবিকৃতদের না দেওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিলো। এরই মধ্যে মোস্তফা গ্রুপের লোকজন বিরোধপূর্ন বিলের জমিতে বোরো চাষ করে। এতে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরই জের ধরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তীর ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গোলাম মোস্তফা ও রেজাউল ইসলামের সমর্থকরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া তীর বিদ্ধ হন রেজাউল গ্রুপের সাজ্জাদ, উজ্জল ও ওসমান। এদের মধ্যে সাজ্জাদ তীর বিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় গোলাম মোস্তফা গ্রুপের লোকেরা।
খবর পেয়ে পবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সাজ্জাদের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই