পথের কাঁটা পরিষ্কার করতে গলা কেটেছি

হিন্দু গৃহবধূর সঙ্গে মুসলমান ছেলের পরকীয়া, অতঃপর হত্যা

মেহেরপুরে মুজিবনগর উপজেলায় স্ত্রীর পরকীয়ায় সেলুন ব্যবসায়ী পরেশ দাসকে হত্যার দায় স্বীকার করলেন প্রেমিক আনারুল ইসলাম ওরফে আনা।

বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত আনারুল পুলিশের কাছে এ দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল জলিল।

সহকারী পুলিশ সুপার জানান, সকালে থানায় জিজ্ঞাসাবাদে আনারুল হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন। তিনি জানান, পথের কাঁটা পরিষ্কার করতে তিনি একাই পরেশকে গলা কেটে হত্যা করেন। এসময় পরেশের ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও হত্যায় ব্যবহৃত একটি ধারালো অস্ত্র (হেঁসো) ঘটনাস্থলে পার্শ্ববর্তী সরস্বতী খালে ফেলে দেন।

দুপুরে ওই খালে জাল দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে পরেশের সেই মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের সন্ধানে খালে তল্লাশি চলছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বল্লভপুর গ্রামের সেলুন ব্যবসায়ী পরেশকে শনিবার রাতে গ্রামের জোঁকার মাঠের একটি আম বাগানে গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহতের স্ত্রী চম্পা দাসী ওই দিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসীদের নামে মুজিবনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চম্পা দাসীকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পরকিয়ার বিষয়টি উঠে আসলে বুধবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে আনারুলকে গ্রেপ্তার করে মুজিবনগর থানা পুলিশ। তবে চম্পা দাসীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কিনা তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম।



মন্তব্য চালু নেই