পাবনার ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ ১৯ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প

নয় বছর ধরে চলছে গুমানি নদীতে সেতু নির্মাণ কাজ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চলনবিল অধিবাসীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি নির্মানের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে আসছিল । অবশেষে ২০১২ সালে পাবনা-৩ এলাকার সংসদ সদস্য আলহাজ মোঃ মকবুল হোসেন এর প্রচেষ্টায় চলনবিলের জীববৈচিত্র রক্ষা ও বিলবাসীর উন্নত যোগাযোগের জন্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্র“ত সড়ক হিসাবে এলজিইডি এই প্রকল্পের নির্মান কাজ শুরু করে।

উনিশ কিলোমিটার সড়কে বিশারনালা,পাটুল,পুকুরপাড়,দোহারগ্রাম ও ময়দানদীঘি খালের উপর পাঁচটি ব্রিজ নির্মিাণের কাজ চলছে। রাস্তার ২৪ ফুট টপের মধ্যে ১৮ ফুট পিচ ঢালাই হচ্ছে। চলনবিলের ঢেউ এর হাত থেকে রক্ষার জন্য রাস্তার দুই পাশে সিসি বক দ্বারা ¯ে¬াপ প্রটেকশন তৈরী হচ্ছে। রাস্তাটি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মন্ডলমোড় থেকে শুরু হয়ে তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি গিয়ে হাটিকুমরুল-বনপাড়া বিশ্বরোডের সাথে মিলিত হবে। এ সড়ক নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছে ১শ১৫কোটি টাকা। আর এ পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র ৩২ শতাংশ।
এদিকে ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ সড়কে নৌবাড়িয়া গুমানি নদীর উপর সেতু নির্মানের কাজ নয় বছর ধরে চলছে। এখানে ১শ৬০ মিটার দৈর্ঘ ও ৬ দশমিক ৮মিটার প্রস্থের ব্রিজ নির্মান শুরু হয় ২০০৫ সালে । এর মধ্যে ঠিকাদার বদল হয়েছে ৩জন। ফলে এই ব্রিজ নির্মানে দীর্ঘ সময় ব্যয হচ্ছে।

এ পর্যন্ত দু’পাড়ে দুটি পূর্ণ অ্যাবাটমেন্ট ওয়াল(সেতুর পিল পা) এবং চারটি পিলারের পাইলিং শেষ করে ঢালাই শুরু হয়েছে। আর এই ব্রিজ নির্মাণে সর্বশেষ বরাদ্দ হয়েছে ৬ কোটি ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সেতুটি এতই গুরুত্বপূণৃ যে, এটা ছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করাই সম্ভব নয়।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী এ.এইচ,এম রবিউল আউয়াল রিজভী জানিয়েছেন তৃতীয় ঠিকাদার মেসার্স আমিন ট্রেডার্স নৌবাড়িয়া ব্রিজের কাজ চলতি বছর শেষ করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চলনবিলের এ অঞ্চলের ১০ লাখ অধিবাসীর দীঘদিনের কষ্ট দুর হবে এবং রাজধানী ঢাকার সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন সাধন হবে।



মন্তব্য চালু নেই