নড়াচড়াই বলবে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে
আগের দিনে এখনকার সময়ের মতো বৈজ্ঞানিক উপায় ছিল না যে, সন্তান জন্মের আগেই বলা যাবে সে ছেলে হবে নাকি মেয়ে। আর এ কারণে জন্মের আগেই এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ ছিল না।
এখন অবশ্য গর্ভজাত ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ণয় করা যায়। কিন্তু অনেক দেশেই আছে এটা বেআইনি। কারণ সন্তান মেয়ে হলে অনেকেই ভ্রুণ নষ্ট করে ফেলে।
প্রাকৃতিকভাবে কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। হ্যাঁ, আপনি ওর গতিবিধি থেকে বুঝতে পারবেন যে, ছেলে না মেয়ে।
বাচ্চার নড়াচড়া যদি তাড়াতাড়ি শুরু হয়, তাহলে ছেলে
স্বভাবত ২০ সপ্তাহের পর বোঝা যায় সন্তানের নড়াচড়া। আবার অনেক মা মাত্র ১৬ সপ্তাহের পরই সন্তানের নড়াচড়া বুঝতে শুরু করেন। এই ক্ষেত্রে বলা হয়, বাচ্চাটা হয়ত ছেলে।
বাচ্চা যদি খুব ছটফটে হয়, তাহলে মেয়ে
মেয়ে বাচ্চাকে মনে করা হয় ছেলে বাচ্চার থেকে শক্তিশালী। এটা বৈজ্ঞানিক মতেও প্রমাণিত। যেহেতু মেয়ে ভ্রুণের XX ক্রোমসোম থাকে, তাই ছেলের থেকে বেশি শক্তিশালি। এর ফলে মেয়ে বাচ্চা গর্ভে অনেক বেশি নড়াচড়া করতে পারে। আধা ঘণ্টায় তিনবার ভ্রুণের আন্দোলন স্বাভাবিক মানা হয়। এর বেশি নড়াচড়া করলে বুঝতে হবে মেয়ে সন্তান হবে।
ছেলে বাচ্চারা যখন নড়ে তখন বেশি লাথি মারে
গর্ভে থাকা বাচ্চার মারা লাথি ও নড়াচড়ার মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়। মেয়েরা পেটে বেশি নড়ে। আবার ছেলেরা তাদের ফুটবল খেলার দক্ষতা বোধ হয় পেটে থাকতেই শুরু করে দেয়। বলা হয় ছেলেরা বেশি লাথি মারে মেয়ে বাচ্চার থেকে। অবশ্য বাচ্চার এই গতিবিধি অনেকটা নির্ভর করে তার প্রতিস্থাপন ও নাড়ীর অবস্থানের ওপর।
মন্তব্য চালু নেই