নড়াইলে বানরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা

নড়াইলের কামড়ে ৯ জনকে আহত করায় এক বানরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। লোহাগড়ায় একটি বিনোদন কেন্দ্র থেকে ওই বানরটি লোকালয়ে চলে আসে। বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বানর আতঙ্কে থাকার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বানরটিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া পৌর এলাকায় নিরিবিলি পিকনিক স্পটের চিড়িয়াখানা থেকে একটি বানর বের হয়ে শহরের মশাঘুনি, রামপুর, লক্ষীপাশা, কচুবাড়িয়া ও সিংগা এলাকায় ঢুকে পড়ে। এলাকাবাসী কোনো কিছু আঁচ করার আগেই বানরটি মানুষকে কামড়াতে থাকে। এ সময় এলাকাবাসীর মধ্যে বানর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বানরের কামড়ে মশাঘুনি এলাকার শিশু নিরব (৫), সেলিম মিস্ত্রী (৪৮), বাকা গ্রামের ভ্যান চালক ফুল মিয়া (৬০), লক্ষীপাশা গ্রামের মিরাজ ফকির (৫০), লক্ষীপাশা গ্রামের হালিমা বেগম (৬৭), কচুবাড়িয়া গ্রামের সাগর (৪৫), রাজুপুর গ্রামের জহুর মোল্লা (৫০) আহত হন।

রাতভর ওই সব এলাকার লোকজন বানরের ভয়ে লাঠিসোটা নিয়ে বাড়ির বাইরে ও বাগানে পাহারা দিতে থাকে।

এ দিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বানরটিকে ধরার জন্য দা, লাঠিসোঠা নিয়ে অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা অভিযান শেষে এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে বানরটি পাশের নবগঙ্গা নদীর মধ্যে পড়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী বানরটিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের মাঠে বাঁশের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। মৃত বানরটিকে দেখার জন্য স্কুল মাঠে শতশত মানুষ ভিড় করে।

প্রাণী সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে কথা বললে লোহগড়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, বন্য প্রাণীকে চিকিৎসা করা আমাদের কাজ। হত্যার বিষয়ে বন বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে।

বানর হত্যার ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ জানান, বানর হত্যার বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম রেজা বলেন, বানরের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।



মন্তব্য চালু নেই