নোয়াখালী জেলা বিশেষ দায়রা জজ আদালতের ডাকাতির হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড, একজনের যাবজ্জীবন

নোয়াখালীতে ডাকাতির ঘটনায় সংঘটিত হত্যা মামলায় আলমগীর হোসেন (৪৫) নামের এক আসামীর মৃত্যুদন্ড ও ফজলু মিয়া (৩৫) নামের অপর আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে জেলা বিশেষ দায়রা জজ আদালত। একই সাথে ওই মামলা জামাল উদ্দিন (৫৫) নামের অপর এক আসামীকে খালাস দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বাহারহাটাই এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে আলমগীর হোসেন। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী একই এলাকার মোকলেছ হোসেনের ছেলে ফজলু মিয়া (৩৫)। খালাস পেয়েছেন একই এলাকার জামাল উদ্দিন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর জেল গেইট এলাকার আলমের বাড়ীতে ডাকাতি করতে আসে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরাসহ একদল ডাকাত। ওই সময় বাড়ীতে বেড়াতে আসা আলমের স্ত্রীর ছোট বোন ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার আলী আজমের মেয়ে লাকি বেগম (১৬) ডাকাতদের চিনে ফেলায় ডাকাতদল তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর নিহত লাকির ভগ্নিপতি আলম বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে নোয়াখালী সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামী ফজলু মিয়া ও জামাল উদ্দিনকে আটক করে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করলে আদালত ওই ঘটনায় আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় আসামী আলমগীর হোসেনকে মৃত্যুদন্ড, ফজলু মিয়াকে যাবজ্জীবন ও জামাল উদ্দিনকে বেকুসুর খালাস দেন। একই সাথে আদালত মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আলমগীর পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এডভোকেট কাজী শাহজাহান শাহীন ও (এপিপি) এডভোকেট শহিদ উল্ল্যা।



মন্তব্য চালু নেই