নোয়াখালীর হাতিয়ায় হিন্দু বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা-ভাংচুর, আহত ১০
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দু বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বসতঘর ও আসবাবপত্রে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় সন্ত্রাসীরা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বিভিন্ন মালামাল সহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। গতকাল উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের পশ্চিম গামছাখালী গ্রামে এ হামলায় নারী-পুরুষ সহ ১০ আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, রাজন চন্দ্র দাস (২৫), যূঁথী রানী দাস (৪৫), মৌ রানী দাস (১৬), মিনু রানী দাস বাসনা (৬৪), মো.আরিফ উদ্দিন (৩২) সহ ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা ও স্থানীয়রা জানান, বাড়ির মালিক রাজন চন্দ্র দাস সহ অন্যান্যরা দীর্ঘদির ধরে ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। কিছু দিন পূর্বে একই এলাকার রোকেয়া বেগম, বাবুল উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, মোছলেহ উদ্দিন, নাছির উদ্দিন সহ কয়েকজন লোক রাজন চন্দ্র দাসকে বলে এই বাড়ি জমিটির মালিক রোকেয়া বেগম। তাই বাড়ির মালিকও তিনি। ওই বাড়িতে থাকতে হলে তাদের চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা না দিলে বাড়ি ও ভূমি থেকে উচ্ছেদ করারও হুমকি দেয়। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকবার শালিসী বৈঠকও হয়েছে। তবে রোকেয়া বেগমের পক্ষ থেকে জমি সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এর জের ধরেই ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা রাজন চন্দ্র দাসের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায় । এতে বাধা দিতে গেলে ১০ জনকে পিটিয়ে আহত হরা হয়। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই