নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: আরও ১ জনের মৃত্যু
এম.এ. আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোটার, নোয়াখালী : নোয়াখালীতে ছাত্রলীগ-সমর্থক দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে এক পক্ষের গুলিতে ৩ জন নিহত হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মো: ইয়াছিন (২৩) মারা যায়।
এর আগে ফজলে রাব্বি ওরফে রাজিব (২২) ও সাইফুল ইসলাম ওরফে ওয়াসিম (২৫) নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে সুধারাম থানার সীমান্ত-সংলগ্ন বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় কামরুন নাহার ছবি বাদী হয়ে সাজু সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার মামলা নং ২৯, তাং- ২২ মার্চ ১৬ইং। পুলিশ এ ব্যাপারে ২ মহিলাকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত ফজলে রাব্বি, সাইফুল ইসলাম ওরফে ওয়াসিম এবং মো: ইয়াসিন এর বাড়ি নোয়াখালী জেলা সদরে। তাদের একাধিক বন্ধু বলেছেন, রাজিব ছাত্রদলের রাজনীতি ও ওয়াসিম ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আমিন খানও ফজলে রাব্বিকে তাঁদের কর্মী বলে দাবি করেছেন।
তবে রাব্বির মামা মেজবাহ উদ্দিনের দাবি, তাঁর ভাগ্নে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. ওয়াসিম (২৪) সংগঠনের কর্মী মো. ইয়াছিন (২৩) এবং তাঁদের বন্ধু ফজলে রাব্বিকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নোয়াখালী কলেজ-সংলগ্ন (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ক্যাম্পাস) অনন্তপুরে যান।
সংগঠনের জুনিয়র কর্মীদের একটি বিরোধের বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগ-সমর্থক একটি পক্ষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছিলেন। এ সময় সেখানে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই তিনজনকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়।
এতে ফজলে রাব্বি ঘটনাস্থলেই নিহত এবং মো. ওয়াসিম কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে ওয়াসিমকে মৃত্যু ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। মো. ওয়াসিম ও মো. ইয়াছিনকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখান থেকে তাঁদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমন ভট্ট বলেন, কলেজের ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মীদের মধ্যকার একটি বিরোধের মীমাংসা করতে ছাত্রলীগের নেতা ওয়াসিম ও কর্মী মো. ইয়াছিন তাঁদের বন্ধু ফজলে রাব্বিকে নিয়ে কলেজপাডায় গেলে এক পক্ষ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক ও সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ-সমর্থক দুটি পক্ষের পূর্ববিরোধের জের ধরে ওই ঘটনা ঘটে। তাঁরা বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছে।
মন্তব্য চালু নেই