নোবিপ্রবির হলে ভাংচুর, ৬ ছাত্র সাময়িক বহিষ্কার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি ভঙ্গ করে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় ৬ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এম ওহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে শিক্ষকদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, ফার্মেসি বিভাগের শেষ পর্বের আবদুল হামিদ বাপ্পি, ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের নাসির আহমেদ, ফুড ও টেকনোলোজির তৃতীয় বর্ষের সাইফুল ইসলাম রুপি, ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের সাজ্জাদ শিহাব, আই সি ই দ্বিতীয় বর্ষের জাহিদুল হাসান নাঈম ও অর্থনীতি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাসির হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও কমিটি গঠন ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের বিপ্লব ও রানা গ্রুপেরে মধ্যে শনিবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এর আগে বিজয় দিবসে শহীদ বেদীতে ফুল দেয়ার পর খাওয়া বন্টন নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, নোবিপ্রবির রিজন বোর্ড ২০ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৮ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত। কিন্তু হঠাৎ বিধি লঙ্ঘন করে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাজনীতির নামে কিছু ছাত্র ও বহিরাগতরা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় শনিবার সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটেছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভিসিসহ কিছু শিক্ষকের প্রশ্রয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রলীগ রাজনীতি শুরু করেছে। আর এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এমন হামলা-ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সংঘর্ষের পর প্রশাসনিক প্রক্টোর মুশফিকুর রহমান জানান, কমিটি গঠন ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ছাত্রলীগের বিপ্লব ও রানা গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতরা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য চালু নেই