নোংরা প্রতিযোগিতায় যেতে চাই না, প্রয়োজনে গ্রামে গিয়ে কৃষিকাজ করবো’

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি এবার চ্যানেল, এজেন্সি, প্রডিউসারের কার্যক্রমের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন ইন্ডাস্ট্রি এভাবে চলতে থাকলে ‘প্রয়োজনে গ্রামে গিয়ে কৃষিকাজ করবো অথবা হলিউড/বলিউড ইন্ডাস্ট্রি তে কাজ করা চেষ্টা করবো। যা আছে কপালে।

তোমরা তোমাদের মেরুদণ্ডহীন শরীর নোংরা স্রোতে ভাসাতে থাক। যে স্বপ্ন আর শক্তি নিয়ে অজ পাড়াগাঁ থেকে এই অবস্থানে আসছিলাম তাকে নোংরা প্রতিযোগিতায় নষ্ট করতে চাই না। অবশ্যই আমি কোনো চ্যানেল, এজেন্সির বা প্রডিউসারের কাছে যাব না।’ রবিবার জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া ফেসবুকের এক স্টেটাসে তিনি এ কথা বলেন।

পরিচালককেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে জ্যোতি বলেছেন, একজন পরিচালকই নির্ধারণ করবেন তার প্রডাকশনের সব কিছু। কিন্তু আমার কাজের ক্ষেত্র টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি আর এভাবে চলছে না। পরিচালকের হাতে নেই কিছু আর। আছেন হয়ত ২/৪ জন ব্যতিক্রম, কিন্তু দুই-চারজন দিয়ে তো ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়ায় না।

তিনি বলেন, একজন শিল্পী হিসেবে আমি আমার পছন্দের পরিচালককে বলতে পারি যে আমি তার সাথে কাজ করতে আগ্রহী। তার জন্য হাজারবার অডিশনও দিতে পারি। এর বেশি আর কিছু পারি না। আমি বিশ্বাস করি পরিচালকই একটা প্রডাকশনের বস, সর্বেসর্বা।

অনিল বাগচীর একদিন খ্যাত এই অভিনেত্রী বলেন, পরিচালকের বাইরে চ্যানেল, এজেন্সি, প্রডিউসার (বেসিক্যালি টাকা ইনভেস্টর) তাদের সাথে লবিং, যোগাযোগ বা বাকিসব মেইন্টেইন করতে আমার পার্সোনালিটিতে বাধে, ইগোতে লাগে। আর এই চ্যানেল-এজেন্সি চেইনের সাথে শিল্পের কোনো সম্পর্ক আমি দেখি না। তোষামোদকারী ম্যানেজার ডিরেক্টরদের সাথে কাজ করতে ভালো লাগে না আমার, রাগ হয়।

জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, মেরুদণ্ডহীন মানুষদের সাথে জীবনে কখনোই চলতে পছন্দ করি না। আর মিডিয়ায় আমার নিজের অপক্ষমতাবান মামা-চাচা-স্বামী-বানানো ভাই- বড় নেতা কেউই নেই। যেহেতু আমি সিস্টেমের সাথে গা ভাসাচ্ছি না ফলে আমার কাজের পরিমাণ কমছে। মনে-মাথায় হতাশা, রাগ, অভিমান বাসা বাঁধছে। কারণ এটাই আমার একমাত্র পেশা। ভালো রেজাল্ট নিয়ে এমএ পাস করার পরও কখনও চাকরির চেষ্টা করিনি, অন্য পেশায় যাওয়ার চিন্তা করিনি।

উল্লেখ্য, এখন মিডিয়ায় চ্যানেল, এজেন্সি, প্রডিউসারের কার্যক্রমের ওপর ব্যাপক ত্যাক্ত-বিরক্ত পরিচালকরা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালকদের মূল্যহীন করে তোলা হচ্ছে বলে একাধিক পরিচালক এর আগে অভিযোগ করে এসেছেন।



মন্তব্য চালু নেই