নেপালের প্রথম মুসলিম নারী আইনজীবী আনসারির অনন্য কৃতিত্ব
মোহনা আনসারি। নেপালের প্রথম মুসলিম আইনজীবী। তিনি সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন নেপালের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হিসেবে। মুসলিম নারী হিসেবে তিনিই প্রথম কোনো নারী যিনি নেপাল সরকারের এত উচ্চ পদে নিয়োগ পেলেন।
২০১৪ সালের নভেম্বরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে একটি ফোন কল পান। তাতে তাকে বলা হয় নেপালের মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য।
দক্ষিণের শহর নেপালগুঞ্জের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা এই আইনজীবী বলেন তখন তিনি এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না।
নেপাল মানবাধিকার কমিশনার মোহনা আরো বলেন, ‘আমি এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে এটা পেতে পারি। আমার পরিবারের কেউই রাজনীতির সাথে জড়িত নন।’
নেপালের সাম্প্রতিক সময়ে তার পদটিই কোনো মুসলিম নারীর জন্য সর্বোচ্চ পদ।ন ৩৯ বছর বয়সী এই নারী কাঠমান্ডু শহরের এক হোটেলের লবিতে বসে মৃদু স্বরে বললেন, ‘এসবই কঠোর পরিশ্রমের ফল।’
দশক জুড়ে চলা মাওবাদিদের বিদ্রোহের ফলে ২০০৬ সালে রাজতন্ত্রের অবসানের পর তার এই উত্থান নেপালে পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।
৫ সদস্যের কমিশনের একমাত্র নারী সদস্য হিসেবে তার দায়িত্ব হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ। আনসারি বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা খুবই কঠিন কাজ।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় আনসারি জানান, তাকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখানো হয়। তবে এতে দমে যাওয়ার পাত্রী নন তিনি।
আনসারি নেপালে নারীদের জন্য সরকারি চাকুরিতে কোটা সংরক্ষণের নতুন আইনকে সমর্থন করেন এবং আশা করেন এতে মুসলিম নারীরাও উপকৃত হবে।
নেপাল আগে সাংবিধানকিভাবে হিন্দু রাষ্ট্র থাকলেও এখন এটি ধর্মনিরপেক্ষ। নেপালের জনসংখ্যার ৪ ভাগেরও কম ইসলাম ধর্মাবলম্বী। সূত্র: আলজাজিরা
মন্তব্য চালু নেই