নেতাদের সমাবেশ বর্জনে এরশাদের হুমকি

জাতীয় পার্টির সমাবেশ বর্জন করলেন জ্যেষ্ঠ নেতা ও সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এ নিয়ে সমাবেশেই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

মহান মে দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে কাকরাইলের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় শ্রমিক পার্টি। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ।

এরশাদ সমাবেশ বর্জনকারী নেতাদের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘মনে রাখবেন, লাঙ্গল নিয়েই আগামীতে নির্বাচন করতে হবে। আর লাঙ্গলের মালিক আমি।’

এরশাদ যখন সমাবেশের মঞ্চে ওঠেন তখন দু-একজন ছাড়া কোনো জ্যেষ্ঠ নেতা মঞ্চে ছিলেন না। মঞ্চে ছিলেন দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী, প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ হান্নান ও গোলাম কিবরিয়া টিপু প্রমুখ।

২৮ এপ্রিল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর জাপার প্রথম এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কোনো নেতাকর্মী। বিশেষ করে সব সময় এরশাদের সঙ্গে থাকা জাপার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সদস্য সচিব জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র নির্বাচনে অংশ নেওয়া হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, উত্তরে মেয়র নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুলকেও সমাবেশে দেখা যায়নি। এমনকি সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুও এরশাদের মে দিবসের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না।

জাপার ৪১ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অর্ধশতাধিক জ্যেষ্ঠনেতাদের মধ্যে মাত্র পাঁচ নেতা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। নেতাহীন মঞ্চের এমন করুণ দশা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এরশাদ।

এরশাদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের দুর্বলতা আমরা জানি। আজ অনেকেই আসেননি। কেন আসেননি জানি না। কি অপরাধ জাপার?’

এরশাদ নেতাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘মনে রাখবেন, আগামীতে লাঙ্গল নিয়েই নির্বাচন করতে হবে। বেশি কথা বলতে চাই না। শুধু মনে রাখবেন, লাঙ্গল দেওয়ার ক্ষমতা আমার।’

জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি শাহ আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রেজাইল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই