নূরের জেলায় ভুয়া গণগ্রন্থাগারে অনুদান
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের জেলায় ভুয়া গণগ্রন্থাগার অনুদান নিচ্ছে। সংস্কৃতিমন্ত্রী নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার এবং বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘নামসর্বস্ব কিছু গণগ্রন্থাগার সরকারের কাছ থেকে বছরে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার অনুদান নেয়। অথচ বাস্তবে এদের কোনো অস্তিত্ব নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমার জেলার গণগ্রন্থাগার পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখি সেখানে মাত্র দুইটা, আর কোনো গণগ্রন্থাগার নেই। অথচ অনুদান নিচ্ছে বেশ কয়েকটি গণগ্রন্থাগার। সেজন্য ঠিক করেছি এবার জরিপ করে দেখবো, যারা আন্তরিকভাবে কাজ করে কেবল সেসব গণগ্রন্থাগারই যেন টাকা পায় এবং বেশি করে টাকা পায় সে ব্যবস্থা নেব।’
এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
গণগ্রন্থাগারে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের গুরুত্ব তুলে ধরে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘বই পড়ায় একগুয়েমি আসতে পারে। সে জন্য বই পড়ার ফাঁকে বিভিন্ন ধরনের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করে জ্ঞানার্জনের পথকে প্রসারিত করা যেতে পারে। এজন্যই আজকের এ উদ্যোগ।’
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বই মানুষকে আনন্দ দেয়। বই মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হতে শেখায়। তাই শুধুমাত্র ক্লাসের বই পড়ে সত্যিকারের বিদ্বান অথবা জ্ঞানী হওয়া যাবে না। জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় টিকে থাকতে হলে বাইরের জ্ঞান থাকতে হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান কাম উপ-পরিচালকদের কাছে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর হস্তান্তর করেন। এসময় তিনি গ্রণগ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এনডিসি। স্বাগত বক্তব্য দেন গণগ্রন্থাগারের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন গণগ্রন্থাগারের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।
মন্তব্য চালু নেই