নির্বাচন বাতিল নয়, সানির আবেদনে পুনরায় ভোট গণনা
সদ্য শেষ হয়েছে আলোচিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিকী নির্বাচন। যেখানে বহু ব্যবধানে নির্বাচনে জয় লাভ করেছে মিশা-জায়েদ প্যানেল। আর এই নির্বাচনে আলোচনায় থেকেও হেরে গেছেন চিত্রনায়ক ওমর সানি ও অমিত হাসানের প্যানেলটি। নির্বাচনের সরকারি ফলাফলপত্র হাতে পাওয়ার পর ভোটাভুটির হিসেবে অসঙ্গতি দেখতে পান চিত্রনায়ক ওমর সানি। এমন গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত নির্বাচনে ভোট নিয়ে গড়মিল থাকায় নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগে অভিযোগ দেয়ার প্রেক্ষিতে নির্বাচন বাতিল নয়, বরং তার আবেদন আমলে নিয়ে পুনরায় ভোট গণনা চলছে।
হেরে গিয়ে ভোটাভুটিতে কারচুপির অভিযোগ করেননি সদ্য সমাপ্ত শিল্পী সমিতি নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ওমর সানি। বরং ভোটাভুটিতে সত্যিই ছিলো দারুন অসঙ্গতি। সেই হিসেব জানিয়ে ওমর সানি গত রোববার এক অভিযোগ দায়ের করেন ওমর সানি। অভিযোগ নামায় তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ভোট সংগ্রহ হয়েছে ৫৫৮টি। এর মধ্যে ৮৯টি ভোট বাতিল বলে নির্বাচন বোর্ড প্রকাশ করেছে। মোট ফলাফল অসঙ্গতিপূর্ণ কেননা সভাপতি তিনজনের ভোট যোগ করলে মোট ৪৬৯টি ভোট হওয়া উচিত। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৪৫৬টি। অন্যান্য পদে প্রাপ্ত ভোটের যোগফল কোনোভাবেই বৈধ ব্যালটের সঙ্গে মিলে না। যেমন, কার্যনির্বাহী মোট ভোট হওয়া উচিত (৫১১*১১) = ৫৬২১টি। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৫৬৬৫টি। তাহলে অতিরিক্ত ৪৪টি বেশি ভোট কোথা থেকে এল? এমনকি কোষাধ্যক্ষ পদে তিন প্রার্থীর মোট ভোট ৪৬৫টি কিন্তু হওয়া উচিত ৪৬৯টি।
তার এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালেই নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবরের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সদস্যসহ শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে পুনরায় ভোট গণনা শুরু হয়। এ বিষয়ে মনতাজুর রহমান আকবর জানান, নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি। ভোট গণনায় কিছুটা ভুল হয়েছে, কিন্তু তাই বলে এখন নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দেয়া সম্ভব নয়। তাই সানির অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়ম অনুযায়ি পুনরায় ভোট গণনা হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই