নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

সরকার বিরোধী আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার সকালে মিরপুরের ডেল্টা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদারকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। গত ৩০ জুন রাতে ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে খালেদা জিয়ার ইফতার পার্টি শেষে বাসা ফেরার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন দিদার।

ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নয়, জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন তীব্রতর করবো। ঈদের পর আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হবে। আন্দোলন, নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সংগঠন গোছানোর কাজ একই সঙ্গে চলছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইতিমধ্যে ঈদের পর দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার কথা বলেছেন।’

এদিকে আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা না করতে বিএনপিকে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘ঈদের পর আন্দোল করা হবে’ খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের আন্দোলন মানেই মানুষ মারা, বোমাবাজি- এই অবস্থা বাংলাদেশে চলুক, তা আমরা চাই না। এদেশ আমাদের। দেশ সংবিধান অনুযায়ী চলবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা বাল্যখিল্যের মতো কথা-বার্তা বলছেন। তারা কেউই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হননি। দেশের মানুষ এখন তাদের পদত্যাগ চায়। ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।’

আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দমন-পীড়নের মধ্যেও সশস্ত্র শক্তির সঙ্গে নিরস্ত্র জনগণ আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত জনগণের ওপর গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। বহু মানুষ প্রাণও দিচ্ছে। সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন থেমে নেই। ঈদের পর আরও আন্দোলন হবে।’

সংগঠন গোছানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘সংগঠনের কার্যক্রম ও কমিটি পূনর্গঠন চলমান একটি প্রক্রিয়া। এটি চলছে। আমরা সংগঠন গোছানোর কাজ করছি। নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছি। সামনে আন্দোলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতিও চলছে।’



মন্তব্য চালু নেই