নির্বাচনী সহিংসতায় আরো এক জনের মৃত্যু

গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আবুল খসরু (৫২) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় দুই জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বারতোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রোববার সকাল ১০টায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত আবুল খসরু মাওনা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী শামসুল হকের চাচাতো ভাই ও বারতোপা বৈশাখী নাট্য গোষ্ঠীর সহ-সভাপতি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ফলাফল প্রকাশের আগেই টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল হকের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুর করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে ফলাফল প্রকাশ না করেই ব্যালট পেপার নিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চলে যায়।

নিহত আবুল খসরুর বড় ভাই আজহারুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চলে যাওয়ার পর টর্চ লাইট প্রতীকের প্রার্থী সুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিছিল থেকে আবুল খসরু, বাবুল সিকদার ও রবিউল্লাহ রবির ওপর তারা হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে গুরুতর আহত হন আবুল খসরু। পরে ঢাকার উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যায়।

এ ব্যাপারে নির্বাচিত মেম্বর সুরুজ্জামান বলেন, ‘হামলায় আহতের অভিযোগ পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। তারাই ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে।’

দক্ষিণ বারতোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ঈমান আলী জানান, হামলায় তার বিদ্যালয়ের ১৫টি চেয়ার ও ৪০টি বেঞ্চ ভাঙচুর করা হয়।

এ ব্যাপারে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী শাসুল হক জানান, তার কোনো সমর্থক হামলা করেনি। বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন ভোটকেন্দ্রে হামলা করে তার বড় ভাইকে হত্যা করেছে।

তবে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আবুল খসরু মারা গেছেন। ভোটকেন্দ্রের অস্থিতিশীল পরিবেশ মোকাবিলা করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রোববার সকাল ১০টায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ইমদাদুল হোসেন (৪৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।



মন্তব্য চালু নেই