নির্বাচনী ব্যবস্থার কফিনে কি শেষ পেরেকটি মারা হচ্ছে?
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কফিনে ঢোকানো হয়েছিল। আর এবারের সহিংসতা আর ভোটডাকাতির ইউপি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কি সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেকটি মারতে উদ্ধত হয়েছে?
শুক্রবার দুপুর ২টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক যৌথ বিবৃতিতে সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলে এসব কথা বলেন।
দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা, ভোট জালিয়াতি, কারচুপি, বিরোধী প্রার্থী ও ভোটারদের ওপর হামলা এবং প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সিপিবি নেতারা বলেন, নির্বাচনের আগেই আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু ‘জ্বি হুজুর’ মার্কা অথর্ব নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে কেবল সরকারের দলীয় নির্দেশ পালন করা।
তারা বলেন, জোরদবরদস্তি করে সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ দখলের উদ্দেশ্য পূরণ করতে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি, জালভোট, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাস, সহিংসতা, প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, প্রথম দফার ইউপি নির্বাচনের পর সহিংসতা প্রতিরোধে সামান্যতম ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি। ফলে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে সহিংসতা ও প্রাণহানি আরো বেড়েছে। এখন চলছে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা। দুই দফা নির্বাচনে এ ব্যাপক প্রাণহানি ও সহিংসতার দায় সরকার ও নির্বাচন কমিশন কিছুতেই এড়াতে পারে না। জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে সরকার তার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
তারা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারসহ নির্বাচনে টাকার খেলা, পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন, স্বচ্ছ, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার দাবিতে সিপিবি আন্দোলন করছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এই আন্দোলনকে অগ্রসর করা এখন জরুরি কর্তব্য।
মন্তব্য চালু নেই