নির্জনতার স্বাদ পেতে ঘুরে আসুন বিশ্বের সবচেয়ে প্রান্তীয় এলাকায়

এত এত জনসংখ্যার পৃথিবীতে আপনি হয়ত ভাবছেন এমন কোন জায়গা নেই যেখানে মানুষ নেই। সত্যিই তো, কোন গহীন বনে যেতে হয় কত কাঠ-খর পুড়িয়ে, সেখানেও আছে জনবসতি। সমুদ্র, পর্বত মালা এমনকি ভয়ংকর আগ্নেয়গিরির পাশেও মানুষ নির্দ্বিধায় বাস করছে। যেখানে বাস করছে না কিন্তু প্রাকৃতিক চমৎকার পরিবেশ, দেখা যায় সেটাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পার্ক, প্রতি বছর সেখানে হচ্ছে পর্যটকদের ভিড়।

আপনি যদি এই ভিড় এড়াতে চান, যেতে চান একেবারে জনবসতিহীন এলাকায় যেখানে সহজে মানুষের পা পড়ে না তবে আপনার জন্যই এই লেখা! আসুন জেনে নিই পৃথিবীর শেষ প্রান্তের পাঁচটি এলাকার কথা, যেখানে খুব একটা পা পড়ে নি মানুষের।

লরা, মার্শাল আইল্যান্ড
লরা একটি দ্বীপ এবং একটি ছোট্ট শহর যা অবস্থিত মার্শাল দ্বীপে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ ফুট উঁচু। এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপমালার অন্তর্গত। এখানে এটাই সর্বোচ্চ। এখানে চমৎকার সব বিচ উপভোগ করতে পারবেন আপনি। কোন ভিড় নেই। শুধুই শান্তি।

ইকালুইট, কানাডা
বাফিন দ্বীপের দক্ষিণ উপত্যকায় অবস্থিত ইকালুইট নুনাভুট এর প্রধান শহর। নুনাভুট আবার কানাডার অন্তর্গত। ৭০০০ মানুষের চেয়ে কম লোকের জনবসতি এখানে। এটা কানাডিয়ান রাজধানীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট এবং অন্যগুলোর মত কোন মহাসড়ক দিয়ে সনযুক্ত নয়। অনেক দূরের এলাকা হওয়ায় এখানে শুধুই আকাশ এবং জলপথে যাওয়া সম্ভব।

ফউলা, স্কটল্যান্ড
শেটল্যান্ড দ্বীপমালার একটি অংশ এটি। যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে রিমোট অঞ্চলগুলোর একটি এবং একদমই জন বিচ্ছিন্ন এলাকা। মাত্র ৫ বর্গ মাইলের এলাকা এটি। মাত্র ৩৮ জন লোকের বাস এখানে যারা কৃষিকাজ করে, জাহাজ চালিয়ে এবং যারা এখানে আসে সেই সব পর্যটকদের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে। চমৎকার সব পাখির দেখা মিলবে এখানে আর পাবেন নির্জন পরিবেশ যা হয়ত আর কোথাও নেই।

মেক মার্ডো স্টেশন, এন্টার্কটিকা
একটি গবেষণা কেন্দ্র এবং এন্টার্কটিকার প্রধান অঞ্চল এটি। এন্টার্ক্টিকা বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসের অযোগ্য মহাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র এই গবেষণা কেন্দ্রটি পরিচালনা করে। ইউনাইটেড স্টেটস এন্টার্ক্টিক প্রোগ্রামের আওতায় তাদের শাখা ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম এটি। ১২৫৮ জন আধিবাসী রয়েছে এই স্টেশনে। অনেক কষ্টে এখানে বসবাস করে তারা।

আদাক, আলাস্কা
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পশ্চিমের অঞ্চল এটি। জনবসতি একদম নেই, মাত্র ৩০০ লোকের বাস। বাইরে থেকেও তেমন কেউ যায় না এখানে। সাব-পোলার ওসেনিক জোনের অন্তর্গত এটি। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর মধ্যপন্থী তাপমাত্রার অঞ্চল এটি। বছরে ২৬৩ দিনই বৃষ্টি হয় এখানে। যুক্তরাষ্ট্রের ২য় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের এলাকা এটি।



মন্তব্য চালু নেই