না.গঞ্জে ৭ খুন
নিরাপদ স্থানে র্যাব কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় গ্রেপ্তার করা র্যাবের চাকরিচ্যুৎ তিন কর্মকর্তাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাত খুনের মামলা নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করা হলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই রিমান্ডের আসামিদের নিরাপদ স্থানে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী কর্মকর্তা।’
ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের সময় কেউ অসুস্থ্ হয়ে পড়লে চিকিৎসা দেয়ার বিধান রয়েছে।’
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. দুলাল চন্দ্র চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ‘গত ১৭ মে সকালে জেলা পুলিশ সুপার আমাদের কাছে চিঠি দিয়ে চিকিৎসক চেয়েছিলেন। সেদিন দুইজন চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে আসামিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে। কিন্তু সেদিন বিকেলে মিডিয়ার মাধ্যমে দুইজনকে রিমান্ডে নেয়ার খবর জানতে পেরে চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।’
এদিকে র্যাবের বহিষ্কৃত তিন কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জামাইআদরে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, র্যাবের বহিষ্কৃত তিন কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রিমান্ডে তাদের ইন্টারোগেশন করা হচ্ছে না।’ তাদের আইনী সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, ‘পুলিশ সুপারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের জন্য দুজন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটা আইন বহির্ভূত কাজ। এসপির কোনো সুপারিশ করতে পারেন না। একমাত্র আদালতের নির্দেশেই তাদের চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।’
রিমান্ডের আগেই তাদের জন্য চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল এবং পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবীদের নেতা বলেন, ‘আমার কাছে সেই আবেদনের কাগজ আছে। আর চিকিৎসক প্রত্যাহার করে নেয়াই প্রমাণ করে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়াটা বেআইনি কাজ হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া র্যাব-১১ এর স্পেশাল ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির সাবেক ইনচার্জ লে. কমান্ডার এম এম রানাকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে র্যাব-১১ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ এবং মেজর আরিফ হোসেনকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড মঞ্জুরের পর তিন কর্মকর্তাকে মাসদাইরে জেলা পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই