নিরাপত্তায় ঘেরা পরীক্ষা কেন্দ্রে এ কী কাণ্ড!

চারদিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের পাহারা, গেট আর মাঠে পুলিশ ফিটফাট থাকলেও রামগঞ্জের পানিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কথপোকথনে মেতে উঠে পরীক্ষার্থীরা। তবে থেমে ছিলেন না কক্ষে দায়িত্বরত পরিদর্শকরাও। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র হাতে নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তারা।

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় এবারের এএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় ছিল প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী। তবে সব বাধা কাটিয়ে শুক্রবার যখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় তখনই রামগঞ্জের পানিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এম দৃশ্য দেখা গেল।

পানিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৯টায় পরীক্ষা শুরুর পর কিছুটা শান্ত ছিল কেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশ। কিছু সময় পর একে অন্যের সঙ্গে কথপোকথনে মেতে উঠে পরীক্ষার্থীরা। প্রকাশ্যে যে যার মতো করে একে অন্যের কাগজ দেখে পরীক্ষা দিতে থাকে।

তবে এ সময় দায়িত্বরত শিক্ষরা নিবৃত না করে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র হাতে নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক  জানান, কেন্দ্র সচিবের নির্দেশে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

সকাল ১০টায় পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের কথপোকথনের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে কেন্দ্র সচিব সাংবাদিকদের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন।

পরে বেলা ১১টায় রামগঞ্জ রাব্বানীয়া মাদরাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকেরা পরীক্ষার্থীদের উত্তর বলে দিচ্ছেন।

তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, কক্ষে পারস্পারিক যোগাযোগ হলেও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই