নিরাপত্তার চাদরে মোড়া নারায়ণগঞ্জ

নাসিক নির্বাচনের বাকি মাত্র দুই দিন। মঙ্গলবার রাতেই শেষ হচ্ছে প্রচারণা। তবে নাসিকের গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে শনিবার থেকেই অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি চলছে তল্লাশি ও প্রধান সড়কগুলোতে টহল। আছে র‌্যাবের গাড়িও। রাতে টহল বাড়ানো হয়। বহিরাগতদের ওপর বাড়ানো হয়েছে বিশেষ নজরদারি। নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে যেন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়ছে নারায়ণগঞ্জ।

কথা হয় নারায়ণগঞ্জ পুরনো কোর্ট এলাকায় র‌্যাব-১১’র এএসপি শিবলী সাদিকের সঙ্গে। তার নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা চাষাঢ়া চত্বরে বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। একই সময় নারায়ণগঞ্জের মিশন পাড়া সড়কে সদর থানার পুলিশ সদস্যদেরও যানবাহন তল্লাশি করতে দেখা যায়। শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল আরোহীদের তল্লাশি করছিলেন তারা।

র‌্যাব কর্মকর্তা শিবলী সাদিক বলেন, তারা দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট নির্বিঘ্ন করতে নিয়মিত চেকপোস্ট থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ নিরাপত্তা ছাড়াও চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের যেকোনো মুহূর্তে গ্রেফতার করা হবে। বহিরাগতরা র‌্যাবের নজরদারিতে রয়েছেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই নিয়োজিত থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। যেকোনো নাশকতার ঘটনা তাৎক্ষণিক মোকাবেলায় থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা।

এছাড়া নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ভোটার ও প্রার্থীদের সচেতন করতে চলবে বিশেষ ক্যাম্পেইন। ১৭৪টি কেন্দ্রের প্রতিটিকেই দেয়া হবে সমান গুরুত্ব। মোতায়েন করা হবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য। নগরে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৩ থেকে ৫ মিনিটেই পৌঁছে যাবে স্ট্রাইকিং ফোর্স।

দেশে প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই থাকছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটের আগের দুদিন থেকে যুক্ত হবে আরো ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটারদের নিরাপত্তায় থাকবে বাড়তি ব্যবস্থাও।

এছাড়া প্রার্থী ও ভোটারদের আচরণবিধি সম্পর্কে সচেতন করতে সদর ও বন্দরে ৫০ হাজার লিফলেট বিলি করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।



মন্তব্য চালু নেই