নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই : খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ফের ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে বলেছেন, আমরা অগণতান্ত্রিক কিছু চাই না, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যদি দেশকে ভালবাসেন আসুন এক সঙ্গে কাজ করি। আমরা অগণতান্ত্রিক কিছু চাই না, আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।’

সরকার পতন প্রসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশেকে সঙ্কট থেকে মুক্ত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। ঈদের পর নতুন কর্মসূচি দিয়ে বর্তমান সরকারকে বিদায় করা হবে। দেশের প্রয়োজনে সব ভুলে গিয়ে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ৯৫ শতাংশ মানুষের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাবো। আমাদের আরো শক্ত ভূমিকায় যেতে হবে।’

সরকারের সমালোচনা করে খালদা জিয়া আরো বলেন, ‘দিনে দিনে দরিদ্রতা বাড়ছে। গুম, খুব বেড়ে চলছে। জালেম সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। গুম-খুন, হত্যা-রাহাজানি থেমে নেই। দেশ এখন মহাসঙ্কটে।’

এসময় তিনি র‍্যাব দেশের নিরাপত্তা রক্ষাবাহিনী নয় উল্লেখ করে র‍্যাবকে বাতিল করারও দাবি জানান।

জামায়াতের ইফতার মাহফিলে জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনপিপির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নিলু, হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ইসলামিক পাটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মোবিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগের সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এনডিপির গোলাম মর্তুজা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণি, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, আ স ম হান্নান শাহ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম মোর্শেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, শওকত মাহমুদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, আইনবিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার, অধ্যক্ষ জায়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া, মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহদী প্রমুখ।

বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, কবি আল মাহমুদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রহমান, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, সাদেক খান, জাবির অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান, আলমগীর মহিউদ্দিন, রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজে সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, এম আব্দুল্লাহ, ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান।



মন্তব্য চালু নেই