নিজের দেহ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানলে অবাক হবেন আপনিও!
আপনার নিজের দেহ সম্পর্কে আপনি ঠিক কতোটা জানেন? যদি আপনি মনে করে থাকেন সব অনেক কিছুই জানেন তাহলে ভুল বুঝছেন। কারণ প্রতিবারই বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণার মাধ্যমে দেহ সম্পর্কে এমন সব তথ্য বেড়িয়ে আসছে যা সত্যিই বিস্ময়কর। কারো ধারণাই হতে পারে না শুধুমাত্র রক্তমাংসের তৈরি এই দেহে এতো ধরণের সূক্ষ্ম কার্যকলাপ ঘটে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। আজকে এমনই কিছু বিস্ময়কর তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতেই আমাদের ফিচার। চলুন জেনে নেয়া যাক মানবদেহ সম্পর্কিত অবিশ্বাস্য কিছু তথ্য।
১) চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন সবসময়? তাহলে জেনে রাখুন একজন পুরুষের দিনে গড়ে ৪০ টি এবং নারীদের ৭০ টি।
২) রক্ত লবণাক্ত তা আমরা সকলেই জানি, কিন্তু ঠিক কতোটা তা জানেন কি? আপনার দেহের রক্তে যতোটা লবণ রয়েছে ঠিক ততোটাই লবণ রয়েছে একটি মহাসাগরে।
৩) উচ্চতা নিয়ে কি অনেক দ্বিধায় রয়েছেন? তাহলে জেনে রাখুন মজার একটি তথ্য। আপনি জানেন কি, সকালের তুলনায় রাতে আপনার উচ্চতা কম থাকে?
৪) প্রতিদিন আপনার হৃদপিণ্ড আপনার দেহে প্রায় ১,০০০ বার রক্ত সঞ্চালন করে থাকে।
৫) চোখের পাপড়ি পড়ে গেলে ভয় পাবেন না। একটি চোখের পাপড়ির আয়ুষ্কাল মাত্র ১৫০ দিন। এরপর তা আপনাআপনিই ঝরে পড়ে যায়।
৬) আপনার ভ্রুতে কটা চুল রয়েছে তা জানেন কি? গড়ে একজন মানুষের ভ্রুতে চুল থাকে ৫০০ টির মতো।
৭) গড়ে একজন মানুষের দেহে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নার্ভ সেল রয়েছে।
৮) কংক্রিট বেশ শক্ত তাই না? তাহলে নিজের হাড় নিয়ে গর্ববোধ করুন, কারণ আপনার হাড় কংক্রিটের চাইতে প্রায় ৪ গুন শক্ত।
৯) আপনার হাঁটুর যে বাটিটি দেখতে পান এবং অনুভব করেন তা কিন্তু জন্ম থেকেই ছিল না। ২-৬ বছর বয়সের মধ্যে হাঁটুর এই চাকতিটি হয়।
১০) নিজের শিশুটির বেড়ে উঠা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে জেনে রাখুন আপনার শিশুটির বেড়ে উঠা দ্রুততর হয় বসন্তকালেই।
১১) আপনি যে আকারের চোখ নিয়ে জন্মেছেন তা ঠিক তেমনই থাকে জীবনভর কিন্তু আপনার কান ও নাক বেড়েই চলে।
১২) দেহে ২০৬ টি হাড় রয়েছে তা সকলেই জানেন। কিন্তু আপনি জানেন কি, মানুষের জন্ম হয় ৩০০ টি হাড় নিয়ে এবং বড় হতে হতে তার সংখ্যা দাঁড়ায় ২০৬ টিতে।
১৩) মানুষের মাথার খুলি প্রায় ২৬ ধরণের হাড় দিয়ে তৈরি হয়।
১৪) আপনার দেহের কোন মাংসপেশিটি সবচাইতে বেশী শক্তিশালী। পুরো দেহ দেখে লাভ নেই, কারণ আপনার দেহের সবচাইতে শক্তিশালী মাংসপেশি হচ্ছে জিহ্বা।
১৫) মুখ থেকে পেটে খাবার পৌঁছুতে সময় লাগে মাত্র ৭ সেকেন্ড।
সূত্র: healthdigezt.com
মন্তব্য চালু নেই