এরশাদকে ফখরুল
নিজেকে আর ছোট করবেন না
জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সমালোচনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “দেশে নতুন মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হয়েছে, তিনি এরশাদ। তাকে নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা হয় না। মনে হয় তাতে তাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।”
“দয়া করে বিরত থাকবেন। অযথা নিজেকে আর ছোট করবেন না” বলেও এ সময় এরশাদকে অনুরোধ করেন ফখরুল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওই আলোচনার আয়োজন করে।
বুধবার এক অনুষ্ঠানে এইচ এম এরশাদ বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হলেও ক্ষমতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধূলিসাৎ করেছেন।
এরশাদের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এরশাদের মুখে জিয়াউর রহমানের সমালোচনা শোভা পায় না। জিয়াউর রহমানের বদান্যতায় এরশাদ সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও সেনাপ্রধান হয়েছিলেন।”
এরশাদকে বেঈমান আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, “জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে এরশাদের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।”
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চাকরি নিয়ে সরকারের উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের বক্তব্য উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী চাকরির ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য হবে না। অথচ এখন ছাত্রলীগ দেখে চাকরি দেয়া হচ্ছে। এটি সংবিধানের লংঘন। সুপারিশ না থাকলে, ছাত্রলীগ না করলে বিসিএসসহ সরকারি কোনো চাকরি পাওয়া যায় না। চাকরি হলে যাচাই বাছাই করা হয়, প্রার্থীর গোষ্ঠীতে কেউ বিএনপি বা বিরোধী রাজনীতি করে কি না। করলে চাকরি হবে না।”
স্বাধীনতার চেতনা থেকেই ৭ নভেম্বর সৃষ্টি হয়েছিল দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, “৭ নভেম্বরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈরী সম্পর্ক। কারণ ৭ নভেম্বর থাকলে আওয়ামী লীগ থাকে না।”
ফখরুল দাবি করেন, “আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনা, গণতন্ত্রের কথা মুখে বলে। কিন্তু বিশ্বাস করে না। তারা এসবের বিরোধী।”
স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরাফত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্তব্য চালু নেই