নিজেই তৈরি করুন মায়ের জন্য স্পেশাল উপহার
আসছে মা দিবস। আমাদের এই উপমহাদেশে পারিবারিক বন্ধন অনেক গাঢ়। মাকে ভালবাসতে আমাদের দিন লাগে না, এটা যেমন সত্যি, তেমনি এটাও সত্যি যে, সারাজীবন আমাদের যত্ন নিতে নিতে কাটিয়ে দেওয়া মানুষটিকে জড়িয়ে ধরে ‘ভালবাসি’ ও বলা হয় না। মায়ের ভালবাসা পেয়ে আমরা এমনই অভ্যস্ত থাকি যে, তাঁকে আলাদা করে আর বলা হয় না তিনি আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
হয়ত আমরা নিজেরাও খেয়াল করি না। মায়ের হাতের রান্না মনে পড়ে যখন মায়ের কাছ থেকে অনেক দূরে থাকি। বকুনি, রাগ সবই মধুময় লাগে তখন যখন সেগুলো আর পাই না!
মাকে বলুন ভালবাসি। তাঁর জন্য ভিন্ন কিছু করুন। বাজার থেকে কিনে উপহার তো সবাই দেবে। আপনি না হয় ব্যাস্ত জীবন থেকে কিছু সময় বের করে নিজের হাতেই কিছু তৈরি করুন মায়ের জন্য। আমরা আপনাকে দিচ্ছি কিছু অন্যরকম আইডিয়া-
১। নানি-মা-মেয়ে
মায়ের পুরোনো কোন ছবি নিন, যেখানে আছে মা আর তাঁর মা মানে আপনার নানি। একই পোজে আপনার আর আপনার মায়ের একটা ছবি তুলুন। হোক তা সাদা-কালো। এক দেয়ালে ৩ প্রজন্মকে পাশাপাশি রাখুন। মায়ের মুখ কেমন আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে দেখুন।
২। গল্প বলা ডায়েরি
এমন একটা ডায়েরি করুন যার পাতায় পাতায় তুলে আনুন মা আর আপনার স্মৃতি। ছোটবেলার ছবিগুলো যোগ করুন। তাঁর সাথে যোগ করুন কিছু ‘Sorry’ যা বলা হয় নি। যোগ করুন কিছু ‘ধন্যবাদ’, সেটাও নিশ্চয়ই বলা বাকি।
৩। ম্যাজিক মগ
অনলাইন কেনাকাটায় ম্যাজিক মগ এখন সবার পরিচিতই বলা চলে। মায়েরা যেহেতু অনলাইনে তেমন অভ্যস্ত নয়, তাঁর জন্য কিন্তু এটা সারপ্রাইজ। কাল রং এর হবে মগটি। কিন্তু আসলে আপনার আর মায়ের ছবি লুকানো আছে মগের গাঁয়ে। মা যখনই সেতায় চা বা কফি খেতে যাবেন গরম পানি ঢালার সাথ সাথে ফুটে উঠবে ছবিটি।
৪। ফটো ব্লাঙ্কেট
আপনার আর মায়ের স্মৃতি বিজড়িত ছবিগুলো স্ক্রীনপ্রিন্ট করে বসিয়ে নিতে পারেন কাপড়ে। তারপর কাপড়টি দিয়ে তৈরি করুন ব্লাঙ্কেট। সাথে জুড়ে দিতে পারেন মিষ্টি কোন কবিতা।
৫। কৃতজ্ঞতা দেয়াল
বাসার একটা দেয়াল নির্বাচন করুন। বড় একটা বোর্ড লাগান। তাতে বসান হাতে বানানো কার্ড। কার্ডে লিখুন মায়ের গুনগুলোর কথা, তাঁকে কতটা ভালবাসেন তাঁর কথা। ব্যক্তি হিসেবে তিনি কতটা সুন্দর সেটা তুলে ধরুন। এই দেয়ালের আরেক্তা মজা হল, সারা বছরই যোগ করতে পারবেন নতুন কার্ড, নতুন ছবি।
৬। একটু পাশে থাকা
মায়ের দরকারি কিছু তাঁকে দিতে পারেন। ওভেন দিলেন, অথবা জুসার। যেটাতে তাঁর কাজ সহজ হয়। দৈনন্দিন ঘরের প্রচুর কাজ করেন আমাদের মায়েরা। আমরা সময়ও পাই না তাঁকে সাহায্য করার। তাই এভাবে সাহায্য করতে পারেন। যন্ত্র পরিশ্রম কমায় অনেকাংশে।
৭। শখ পূরণ
হয়তো মায়ের অনেক দিনের শখ কোথাও যাবেন। সেখানে নিয়ে যান তাঁকে। হয়ত অনেক দিনের ইচ্ছা বাইরে পুরো পরিবারের সাথে এক বেলা খাবেন। অথবা হয়ত তেমন কিছুই না, নিজের একটা ভাল ছবি তোলার শখও থাকতে পারে তাঁর। মনে করে দেখুন। তারপর আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন একটি শখ পূরণ করে দিন মা দিবসে।
মা তাঁর ভালবাসার বিনিময়ে চান না কোনকিছুই। আপনি যে তাঁর জন্য ভেবেছেন, এতেই তিনি খুশী হবেন। তাই একটু সময় নিয়ে ভাবুন, আন্তরিকতা দিয়ে ছোট্ট কিছুই না হয় করলেন!
মন্তব্য চালু নেই