নিখোঁজ সালাহ উদ্দিন মেঘালয়ে !

অবশেষে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়। তিনি বর্তমানে ভারতের মেঘালয়ের কোনো এক স্থানে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।

দলীয় একটি সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদের কথা হয়েছে।

এ বিষয়ে হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘ওনি (সালাহ উদ্দিন) ইন্ডিয়ায় আছেন। আমি একটু ব্যস্ত আছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পদক আব্দুল লতিফ জনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে এখনো নিশ্চিত নই। কারণ সালাহ উদ্দিন আহমেদ স্বশরীরে আমাদের মাঝে উপস্থিত না হলে এই বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলতে পারবো না।’

তিনি বলেন, ‘সালাহ উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই বিএনপি যখন নিশ্চিত হবে সালাহ উদ্দিন আহমেদ জীবত রয়েছেন, কেবলমাত্র তখনই বলা যাবে তিনি বেঁচে আছেন।’

এদিকে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদের ফোনে বার বার যোগাযোগ করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

অবশ্য এর আগেও গত ১৯ মার্চ গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার চর খাটিয়ামারীতে সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে গুজব উঠে। এর সত্যতা যাচাইয়ে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালায়। জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ ওই কর্মকর্তা ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্সসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের চর খাটিয়ামারীতে পৌঁছান। কিন্তু কোনো কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সালাহ উদ্দিনের সন্ধানের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত তথ্য কর্মকর্তা কামরুল আহসান বলেন, ‘পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।’ একই কথা জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপ-পরিচালক মেজর খোকন মাহমুদ।

প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ রাতে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উত্তরার একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সালাহ উদ্দিন নিয়মিতই দলের পক্ষে বিবৃতি দিতেন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করতেন।

নিখোঁজের ঘটনায় গত ১২ মার্চ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি ফৌজদারি আবেদন করেন সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী। শুনানি শেষে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ১৫ মার্চের মধ্যে খুঁজে বের করে আদালতে হাজির করতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এসবি), পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (সিআইডি), ঢাকা জেলা প্রসাশক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই