রাজবাড়ীতে প্রতারণার নতুন কৌশল

নিউ লাইফ মার্কেটিং কোম্পানীর ক্র্যাচকার্ডের নামে প্রতারনা

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলাতে নিউ লাইফ মার্কেটিং কোম্পানীর ক্রাচকার্ড ৫০ টাকার বিনিময়ে প্রদান করে স্বল্পমুল্যে তৈজসপত্র বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সোমবার সকাল ১০টার দিকে প্রতারিত জনতা বহরপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ী বাজারে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার বাউতিপাড়া গ্রামের সুধির চন্দ্র মন্ডলের ছেলে সুমন মন্ডল, শালিখা গ্রামের রবিউল ইসলাম ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর গ্রামের ফটিক সরদারের ছেলে শাহীন সরদার নামে ৩জন মাঠর্কীকে আটক করে। তাদেরকে গণপিটুনী দিতে উদ্যত হলে বালিয়াকান্দি থানার ডিএসবি ওয়াচার জাহিদুল ইসলামের হস্তক্ষেপে পালিয়ে রক্ষা পায়। তবে তিনি তাদেরকে এলাকায় বাড়ী ও ভাগ্নে পরিচয় দেন।

কার্ড ক্রয়কারী জনি, শাহীনসহ অনেকে কার্ড দেখিয়ে জানান, ৫০ টাকার কার্ডে বিভিন্ন লোভনীয় পন্যের ছবি হেড অফিস ঢাকা মিরপুর-২ ও শাখা অফিস বোয়ালমারী ফরিদপুর এবং একটি ফোন নম্বর ০১৭১৮-৭৩৯১৮০ ও রেজিঃ নং-০২-২৬০৪৫ লেখা ছাড়া কিছু নেই। পন্যের লোভনীয় ছবি থাকলেও নিম্নমানের কারণে সবাই ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে। দুই দিনে আড়কান্দি, খালকুলা, জামালপুর, কালীবাড়ীসহ আশপাশের এলাকার প্রায় ৫শতাধিক মানুষের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে।

বালিয়াকান্দি হাসপাতাল সড়কে ভবনের ১রুম বিশিষ্ট কক্ষে নিউ লাইফ মার্কেটিং কোম্পানীর অফিসে গেলে ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে আরিফুল ইসলাম জানায়, এ অফিসে সুজন, শাহীন, রবিউল, শারমিন, সুর্য, ইমরুল, সবুজ নামে মাঠকর্মী কাজ করে। তারা নিউ লাইফ মার্কেটিং কোম্পানীর মেম্বার অনলি নট এ লটারী নামের ক্র্যাচকার্ড ৫০ টাকার বিনিময়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে বিক্রি করে।

ওই কার্ডের ঘষে ১৪ ইঞ্চি কালার টিভি, ডিভিডি, ২৭পিস ডিনার সেট, প্লাস্টিক চেয়ার ২টি, এশিয়ান কড়াই, ৪.৫ লি. প্রেসার কুকার, ১.৮ লি. রাইস কুকার, চায়না মোবাইল , বাইসাইকেল, মিকচার বিলিন্ডার, আয়রন, কড়াই, ফিলাক্স, ১৮ লি. ফিল্টার, ইমারজেন্সি লাইট, এশিয়ান কড়াই, টেবিল ফ্যান, সিলিং ফ্যান, সাউন্ড স্পীকার, ফ্রাইপেন ১২ শত টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে। যদি ক্র্যাচকার্ডে না পাওয়া যায় তবে ১শত টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ক্র্যাচকার্ড ক্রয়ের ১০দিন পর্যন্ত মেয়াদ পাওয়া যাবে। ৭-৮দিন ধরে বালিয়াকান্দি উপজেলাতে কাজ শুরু করে হাতিয়ে নিয়েছে ১০ লক্ষাধিক টাকা। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই