নাসিক নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে : জাবেদ আলী
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী বলেছেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের অন্যায় সহ্য করা হবে না। আমাদের কাজ হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা। নির্বাচনে সবার সহযোগিতা থাকলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নাসিক নির্বাচনে প্রার্থীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে যেতে পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনকে বলা হয়েছে তারা ব্যবস্থা নেবে। যদি কেউ ভোটকেন্দ্রে আসতে ভয় পায়, তাহলে আপনারা অবশ্যই প্রশাসনের সহায়তা নেবেন। প্রশাসনকে অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে দলবাজির অভিযোগ থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মাসুম বিল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের এজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল, এলডিপির কামাল প্রধান ও কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদাউস।
এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আমার ব্যালট নিয়ে যাবে আর সেখানে সে অক্ষত থাকবে তা হবে না। আমি আমার দায়িত্ব সম্পূর্ণ পালন করবো। নির্বাচনে ৫ হাজার পুলিশ ও র্যাব আমার সঙ্গে থাকবে। আমি কথা দিচ্ছি নির্বাচনে কোন অঘটন ঘটতে দেব না।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান বলেন, আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি যে প্রতীক বরাদ্দের পর এখন পর্যন্ত আমাদের সকল মেয়র প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে চলছেন। আমাদের সকল কর্মকর্তা তাদের দায়িত্ব ও কাজের ব্যাপারে সচেতন থাকবেন এবং প্রার্থীরা আমাদের সহযোগিতা করবেন।
ডা. আইভী বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষই আমার শক্তি। আমি কোন বিশেষ সুবিধা নেই না আর নেবও না। আমি অনেক চাপের মুখে থেকে নির্বাচন করছি। গণরায়ে আমি জয়ী হবো। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছি।
ডা. আইভী আরও বলেন, সারাদেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এ নির্বাচন। আমাদের ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষ অংশ নেয়নি। তাই সবার কাছে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে হবে।
বহিষ্কার হওয়া এলডিপির প্রার্থী কামাল প্রধান বলেন, আমি মনে করি না এখানে সেনা মোতায়নের প্রয়োজন আছে। প্রতীক পাওয়ার আগে আইভী শহরে ২ ঘণ্টা সড়ক বন্ধ করে মিছিল করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক কামরুলসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য চালু নেই