নাসিক নির্বাচন : ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে ব্যালট বাক্স

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর)।

নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৭৪টি কেন্দ্রের ১৩ হাজার চারটি ভোটকক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলবে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ফতুল্লার চাঁদমারীতে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ব্যালট বাক্স।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান জানান, সকালে ব্যালট ও স্বচ্ছ বাক্সসহ নির্বাচনের আনুষঙ্গিক সামগ্রী ভোটকেন্দ্রে পাঠানো শুরু হয়েছে।

এছাড়া বুধবার থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের একশ’ ৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে একশ’ ৩৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে ভোটের নিরাপত্তা সাজাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে পুরো শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এবার নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় আট সহস্রাধিক সদস্য মাঠে থাকবেন।

এর আগে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান ৫৩টি কেন্দ্রকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে আবেদন জানিয়েছিলেন।

দলবাজ কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ‘কঠোর’ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন। যেকোনো অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিতে বলেছি।

নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, শহরের আটটি, সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ও শীতলক্ষ্যার পূর্ব তীরে বন্দরের নয়টি ওয়ার্ডকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী এলাকা।

এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডের এলাকাকে ‘বেশি ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনা করে সেখানে ‘বাড়তি ফোর্স’ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। যে ২২ প্লাটুন বিজিবি সদস্যের নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে, তার মধ্যে ১০ প্লাটুনই থাকবে সিদ্ধিরগঞ্জে।

তারা দু’টি স্থানে অবস্থান নিয়ে টহলে থাকবেন। এছাড়া শহর এলাকায় সাত প্লাটুন ও বন্দর এলাকায় পাঁচ প্লাটুন বিজিবি থাকবে। বুধবার র‌্যাবের ২৭টি মোবাইল টিম মাঠে নেমেছে। প্রতিটি দলে থাকবেন ১২ জন করে।

প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের তিনটি করে মোট ৮১টি টিম টহলে থাকবে। টিমের সদস্য সংখ্যা হবে ১২ জন। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈঠকে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ভোটের সময় শিল্প পুলিশের দু’শ’ জন সদস্য জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।

তারা বলছেন, ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্ত্রসহ সাতজন পুলিশ, অস্ত্রসহ তিনজন ব্যাটালিয়ন আনসার, অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপির ১৪ সদস্যসহ মোট ২৪ জন থাকবেন প্রতিটি কেন্দ্রে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীসহ সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, ২৭টি ওয়ার্ডে ১৫৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত নয়টি ওয়ার্ডে ৩৮ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। যার মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ জন ও নারী দুই লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন।



মন্তব্য চালু নেই