নাশকতা ঠেকাতে নাশকতা!
টানা অবরোধে রাতের আঁধারে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে নাশকতার ঘটনা। দুর্বৃত্তরা হঠাৎ মহাসড়কে দাঁড়িয়ে যানবাহনের গতিরোধ করে। পরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে উধাও হয়ে যায়। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে নিয়মিত এ ঘটনায় বিব্রত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। খবর পেয়েই ছুটে আসে তারা। কিন্তু পালিয়ে যাওয়া দুর্বৃত্তদের কিছুতেই আটকাতে পারে না।
এমনি পরিস্থিতিতে শনিবার রাতের আঁধারে মহাসড়ক সংলগ্ন একটি জমির অর্ধসহস্র কলাগাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। কলাচাষীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসেছে। কলাচাষীদের অভিযোগ, পুলিশের কিছু সদস্য তাদের জানিয়েছিলেন রাতে দুর্বৃত্তরা কলাবাগানে অবস্থান নিয়ে সুযোগ বুঝে যানবাহন ভাঙচুর করে। কখনও আগুন ধরিয়ে দেয়। আবার পুলিশকে দেখে তারা কলাবাগানে লুকিয়ে যায়। এতে দৃর্বৃত্তরা পুলিশের হাতছাড়া হয়ে যায়।
চাষীদের দাবি, দুর্বৃত্তদের ধরতে ব্যর্থ হয়েই পুলিশ সদস্যরা উপরের নির্দেশে কলাবাগান কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, দুর্বৃত্তরাই কলাগাছ কেটে ফেলেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক এবাদুল, আবুল হোসেন, আব্দুস সাত্তার, মোশারফ ও আব্দুল মান্নান জানান, কেটে ফেলা গাছগুলোর প্রত্যেকটিতে কলা ছিল। কয়েকদিন পরই গাছ থেকে কলা কেটে বিক্রি করার প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু শনিবার রাতে কলাগাছ কেটে ফেলা হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে মহাসড়কে যাই। এসময় পুলিশ তাদের জমিতে যেতে বাধা দেয় ও বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শিবগঞ্জের দিঘলকান্দি, মাঝিপাড়া এবং খুলকাথি এলাকায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে রাতে যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছিল। শনিবার দিনগত রাত ১২টার পর পুলিশের ২-৩টি ভ্যান ওই এলাকায় টহলে গিয়েছিল। রাতে কেটে ফেলা গাছগুলো রোববার ভোরে জমি থেকে নিয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন মহাসড়কে ফেলে অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে মহাসড়ক থেকে গাছগুলো সরিয়ে ফেলে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, আমাদের ফোর্সরা কলাগাছ কাটেনি। এছাড়া ঘটনাস্থল সদর থানার মধ্যে হওয়ায় ওই ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হয়নি।’
কারা কলাগাছ কাটতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারীরা গাছগুলো কেটে থাকতে পারে।’
মন্তব্য চালু নেই