নারী হবার যে দারুণ ও মজার অনুভূতি পুরুষেরা উপভোগ করতে পারে না!
নারী হওয়াটা অনেক বড় একটি সৌভাগ্যের বিষয়। কারণ নারী জীবনে আপনি এমন কিছু দারুণ দিক উপভোগ করতে এবং দেখতে পাবেন নিজের জীবনে যা পুরুষেরা সচরাচর করতে পারেন না। জানতে চান সেই দারুণ ও মজার দিকগুলো? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) নারীরা চাইলেই কাঁদতে পারেন। তার চোখের পানি ধরে রাখার চেষ্টা না করলেও চলে। কেঁদে নিয়ে মনের দুঃখ কিছু হালকা করে নিতে পারেন নারীরা, যা একজন পুরুষের জন্য কষ্টকর। পুরুষেরা সকলের সামনে এবং সব জায়গায় কাঁদতে পারেন না।
২) মনের আনন্দে নিজের চেহারাটিকে রাঙিয়ে নিতে পারেন একমাত্র নারীরাই। মেকআপের মাধ্যমে নিজের চেহারার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার বিষয়টি নারীদের মোহনীয় করে তোলে। এছাড়াও মন খারাপ থাকলে মন ভালো করার উপায় হচ্ছে মেকআপ করতে বসে যাওয়া। আপনিই বলুন এই কাজটা অন্য কেউ পারবেন?
৩) একসাথে অনেকগুলো কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে নারীদের। ছেলেরা একটু মন খারাপ করলেও লাভ নেই, কারণ এই বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে নারীরা একসাথে অনেক কাজ করতে এবং অনেক কাজে মনোযোগ দিতে বেশ পটু। অনেক নারীই বাচ্চাকে খাওয়ানো, রান্না করা, নিজের সাজগোজ, ফোনে কথা বলার মতো কাজগুলো একসাথে করেন।
৪) নারী দেহ হচ্ছে পৃথিবীর সুন্দরতম জিনিসগুলোর মধ্যে একটি। এই সম্পর্কে অনেকেই একমত পোষণ করবেন।
৫) নারীদের জন্য শার্ট-প্যান্ট, জিনস, ব্লেজার ইত্যাদি আলাদা করে তৈরি হয় এবং নারীরা এগুলো পরেন মনের মতো করে। কিন্তু কখনো শুনেছেন পুরুষের জন্য আলাদা করে সালয়ার-কামিজ বা শাড়ি তৈরি করা হয়? তাহলে ভাবুন নারী হওয়ার কতো সুবিধা।
৬) নারীশক্তি আসলেই একটি শক্তিশালী জিনিস। ইতিহাস ঘাঁটলেই এরকম বহু প্রমান পাওয়া যাবে যতো বড় এবং বীর পরাক্রমশালী পুরুষই হোন না কেন শেষ পর্যন্ত একজন নারীর প্রেমে পড়ে নিজেকে তুলে দিয়েছেন সেই নারীটির হাতেই।
৭) উচ্চতা কম হলেও অনায়েসে হিল জুতো পড়ে ঘুরাঘুরি করতে পারেন যে কোনো নারী। কিন্তু হিল জুতো পড়া কোনো কম উচ্চতার পুরুষ দেখেছেন সচরাচর? মোটেও না। তাহলে ভাবুন তো আপনি কতোটা ভালো আছেন।
৮) নারী হওয়ার সবচাইতে দারুণ দিক হচ্ছে গর্ভধারণ। সৃষ্টিকর্তা কিন্তু ঠিকই জানেন কার ধারণ ক্ষমতা ও ধৈর্য কতোটা বেশী, কে বেশী কষ্ট সহ্য করে থাকতে পারেন দীর্ঘসময়। আর তাই এই ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন শুধুই নারীকে।
সূত্র: বিউটি অ্যান্ড টিপস।
মন্তব্য চালু নেই