নারী ফুটবলারের বাবাকে মারধর, শিক্ষক বরখাস্ত

সদ্য অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলে আসা কলসিন্দুরের তাসলিমার বাবাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কলসিন্দুর হাইস্কুলের গভর্নিং কমিটির জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রতন মিয়াকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্ত শিক্ষককে এ ঘটনার বিষয়ে ৪৮ঘণ্টার ভেতরে জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্কুলের গভর্নিং কমিটি।

বুধবার রাতে কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক জবেদ তালুকদার অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবলার তাসলিমার বাবাকে মারধর করেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করেন তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়া।

তিনি জানান, ওই শিক্ষক গ্রীষ্মকালীন ফুটবল প্রতিযোগিতায় কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের হয়ে জাতীয় দলের নয় নারী ফুটবলারকে খেলতে বলেন। ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সংবর্ধনা ও সাফ ফুটবলের চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার ব্যস্ততা থাকায়, নয় খেলোয়াড় জুবেল তালুকদারের প্রস্তাবে অপারগতা প্রকাশ করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন শিক্ষক জবেদ তালুকদার।

ধোবাউড়া থানার ওসি শওকত আলম বলেন, তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়ার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলসিন্দুর হাই স্কুলের শিক্ষক জুবেদ তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসন্ন সাফ গেমস ফুটবলের বাফুফের ক্যাম্পের কথা বলে খেলতে আপত্তি জানানোর কারণে বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক জবেদ তালুকদার ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ স্কুল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। একপর্যায়ে তার সঙ্গে তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়ার মাঝে কিছুটা বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সন্ধ্যায় কলসিন্দুর বাজারে মহিলা মার্কেটে ফরহাদ টেইলার্সের দোকানে তাসলিমার বাবা বসে থাকা অবস্থায় তার ওপর শিক্ষক জবেদ তালুকদার হামলা করেন।

এ ব্যাপারে অনুর্ধ্ব-১৬ জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোলকিপার তাসলিমা বলেন, সকালের স্কুলের ঘটনার জের ধরে আমার বাবাকে মারধর করা হয়েছে।

তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমাকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই