নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জামায়াতকে ঠেকাতে হবে : ইনু

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নারী নির্যাতন আমাদের সমাজের একটি অভিশাপ। আজকে নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ হেফাজত ও জামায়াতের উত্থান। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং হেফাজত ও জামায়াতকে ঠেকাতে হবে।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ-২০১৪ উপলক্ষে আয়োজিত ‘নাগরিকে সহিংসতা: ব্যক্তিগত নয় রাজনৈতিক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইনু বলেন, ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু তারাই যদি এমন জঘন্য কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে তা কিভাবে সম্ভব! আমি নিশ্চিত করে বলতে পারবো না যে, আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ঘরে বউ পেটান কি না, মানসিক নির্যাতন করেন কি না। যদি এমন কেউ করেন মঞ্চে ওঠার আগে সেটি শোধরাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বয়:সন্ধিক্ষণে নারীরা বন্ধুত্ব গড়ে তুলতেই পারেন, প্রেমও করেন। তবে খারাপ প্রেম করা যাবে না, কখনো দৈহিক সম্পর্কে যাবেন না। আর এ সময়ে নারীরা বিভিন্ন বখাটের সম্মুখীন হন। এসব ক্ষেত্রে সরাসরি প্রতিবাদ না করে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ, বখাটেরা হচ্ছে সাপ। একা প্রতিবাদ করলে সে ফুঁসে ওঠবে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম। তিনি বলেন, ‘নারীর প্রতি সবচেয়ে বড় নির্যাতন হচ্ছে দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন। এসব নির্যাতনের মূল কারণ পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। তরুণ সমাজকে লিঙ্গের প্রতি সংবেদনশীল করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তানিয়া হক এতে সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএন উইমেন-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিজ ক্রিস্টিনা সুসান হান্টার, ঢাবি টেলিভিশন এন্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, এবং উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আয়েশা বানু।



মন্তব্য চালু নেই