নারীরা আসলে কী চায় পুরুষদের কাছে ?

নারী হতে পারে বান্ধবী, প্রেমিকা বা স্ত্রী। এক জীবনে নারী বহুবিধ রূপে প্রকাশিত হলেও সবসময় সব কিছু খুলে বলতে চান না তারা। জনশ্রুতি আছে নারী জানে ষোল কলা। এর এক কলা প্রদর্শণ করলে পুরুষ হয় কুপেকাত। পরবর্তী পনের কলা তার পক্ষে জানা হয়েই ওঠেনা। কখনো পুরুষ সঙ্গিটি তাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে পেরেশান। কী করা যায় তাকে খুশি করতে; কী করলে পেতে পারেন প্রেয়সীর মন। এই ভাবনা ভাবতে ভাবতে পার করেন নিদ্রাহীন দিবস রজনী।

সম্প্রতি কিছু গবেষক পুরুষদের এই দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিবার প্রয়াসে এক জরিপ চালিয়ে যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন তাতে দেখা যায় কিছু সাধারণ বিষয়ের দিকে সচেতন থাকলেই এই সমস্যা থেসে মুক্তি পেতে পারেন, দাম্পত্য জীবনকে ভরিয়ে তুলতে পারেন স্বর্গীয় আনন্দে। জীবনের পথে চলতে চলতে আমরা এসব সাধারণ বিষয়কে ভুলে যাই। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এসব ছোটখাটো ভুলে যাওয়া বিষয়কে গুরুত্ব দিলে খুশি করা সম্ভব প্রেয়সী কিংবা স্ত্রীকে। যেমনঃ

১। যখন স্ত্রী বা বান্ধবী কথা বলবে তখন নিজে হযে যান একজন ভালো শ্রোতা। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। বোঝার চেষ্টা করুন তার সমস্যা। যাতে সে বুঝতে পারে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তার কথা ভাবছেন। কেননা তারা চায় আপনি তাকে গুরুত্ব দেবেন।

২। বান্ধবী বা স্ত্রী চান সঙ্গী তার সাথে সবকিছু ভাগ করে নিক। তাই আবেগ বা উচ্ছ্বাস লুকিয়ে রাখবেন না। সুখ,দুঃখ যাই হোক না কেন মনখুলে প্রকাশ করুন আপনার প্রিয় সঙ্গির কাছে। এতে করে সে আরও সহজ হবে আপনার কাছে। তাই সঙ্গির সাথে কথা বলুন মন খুলে।

৩। নারী সবসময় চায় তারা আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে তার সঙ্গী পুরুষটির সম্পর্ক ভালো থাকে। তাই বন্ধবী বা স্ত্রীর স্বজনদের সাথে আপনার অপছন্দ হলেও তদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। এর কোন বিকল্প নাই। যদি তারা আপনার আত্মীয়দের পছন্দ না ও করে।

৪। নারী তার সঙ্গীকে পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে পছন্দ করে, এটা সত্যি, তবে এটাও সত্যি যে রান্নাঘরের দৈনন্দিন কাজ বড্ড একঘেয়ে। নারীও মাঝেমধ্যে এ সব থেকে মুক্তি চান। বান্ধবী বা স্ত্রীর জন্য সবচেয়ে বড় উপহার হলো তাকে তার পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়ানো। একটু কষ্ট হলেও মাঝেমধ্যে এটা করতে পারেন। কিংবা মাঝে মধ্যে বাইরে ভালো কোন রেস্তোরায় তাকে তার পছন্দের খাবার খাওয়াতে নিয়ে যেতে পারেন।

৫। গাড়ি যাদের আছে তারা বান্ধবী/স্ত্রীদের নিয়ে গাড়ি চালাবার সময় ধীর গতিতে গাড়ি চালাবেন। ঝড়োবেগে গাড়ি চালানে তাদের পছন্দ না হওয়ারই কথা। তাই গাড়ি চালানোর সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন এতে আপনিও নিরাপদ থাকবেন তেমনি আপনার পাশে বসা সঙ্গিটিও থাকবে স্বস্তিতে।

৬। নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, তবে সেটি যেন কর্তৃত্ব না হয়ে দাড়ায়। নারী পুরুষের কর্তৃত্ব পছন্দ করে না। নারীরা পুরুষদের উপর কর্তৃত্ব ফলিয়ে একধরনের আত্মতৃপ্তি লাভ করে। তাকে তার সেই আনন্দ লাভে বঞ্চিত করবেন না।

৭। মাত্র একটি ভুল বা মিথ্যার কারণে আপনি আপনার সঙ্গীনীকে চিরতরে হারাতে পারেন। তাই তার প্রতি সৎ থাকুন। তবে সাবধান আবেগের বশে অন্যকোন নারীর সাথে আপনার পূর্বের সম্পর্কের কথা (যদি থাকে) ভুলেও তাকে জানাতে যাবেন না। যা হবে আপনারস জন্য আত্মঘাতী। এ ব্যাপারে নারীরা ছাড় দেয় না।

৮। রাগকে প্রশমিত করতে হবে। কর্মক্ষের ঝামেলাগুলো বাড়িতে বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে টেনে আনবেন না। কারন তারা তারা তাদের সমস্যা নিয়ে আপনি ভাবুন, তার সমাধান করুন এটা চাইলেও আপনার কোন সমস্যা তারা শুনতে চাইবেন না। সুতরাং নিঝের ব্যক্তিগত ঝামেলা আপনি নিজেই মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।

বিঃদ্রঃ অনেকেরই দ্বিমত থাকতে পারে উল্লেখিত গবেষণায় তবে যুক্তিগুলো খন্ডাতে আপুদের সৃজনশীল মন্তব্য ও ভাইয়াদের সুচিন্তিত মতামত আশা করছি।



মন্তব্য চালু নেই