নারীদের যে স্বাস্থ্য সমস্যা কাউকে বলতে চায় না
নারীরা প্রতিদিন গৃহস্থালি কাজে যে পরিমাণ শ্রম ও সময় দেন, সেটা অনেক ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক রকম পরিশ্রমের। আর পেশাজীবী নারী হলে তো কথাই নেই, ঘরে-বাইরে দুই জায়গাতেই খাটতে হয় সমান তালে। ঘর-বাহির সামলাতে গিয়ে অনেক নারীই যেন নিজের শারীরিক-মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকির কথা ভাববার সময় পান না। কিন্তু সব সামলাতে হয় বলেই নিজেকে নিয়ে সচেতন হতে হবে। নারীর শীর্ষ স্বাস্থ্য সমস্যার কথা তুলে ধরা হলো।
হৃদরোগ
হৃদরোগের কথা আসলেই চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে সেটা যেন হৃদরোগাক্রান্ত কোনো পুরুষের ছবি’। কিন্তু বিশ্বে নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃৎপিন্ড ও ধমনীর রোগ বা কার্ডিওভাসকুলার রোগ।
স্তন ক্যানসার
২০ থেকে ৫৯ বছরের নারীদের ক্যানসারে মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারী মারা যান স্তন ক্যানসারে। একসময় এটা চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের সমস্যা বলে ধরে নেওয়া হলেও এখন তরুণীদের মধ্যেও স্তন ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। জীবনযাপনে অতিরিক্ত প্রসাধনী নির্ভরতা, বাহুমূলে বেশি মাত্রায় গন্ধনাশকের ব্যবহার থেকেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
সার্ভিকাল ক্যানসার
বিশ্বজুড়ে নারীদের ক্যানসারে মৃত্যুর চতুর্থ বড় কারণ সার্ভিকাল ক্যানসার। ভারতে নারীমৃত্যুর অন্যতম প্রধান একটি কারণ এটি। দেশটিতে প্রতিবছর ৩৩ হাজার নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। হিউম্যান পাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) সার্ভিকাল ক্যানসারের কারণ। বিশেষ যৌন আচরণ থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়া অনিরাপদ যৌন সংস্রবের কারণে হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) থেকে সার্ভিকাল ক্যানসার হতে পারে।
ইউরেনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন
কিডনি, জরায়ু, মূত্রথলি ও মূত্রনালিতে সংক্রমণের রোগ এটি। ইউরেনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে দেখা যায়। অন্তত অর্ধেক নারীই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এ ধরনের একটি সংক্রমণে আক্রান্ত হয়।
মন্তব্য চালু নেই