নামিবিয়া বধের নেশায় বুঁদ মিরাজ বাহিনী
শীতদিনের কক্সবাজার চোখ জুড়ানোর এক মোক্ষম দাওয়াই। কে না চায় প্রকৃতির এই অনাবিল সুন্দরে চোখ ভেজাতে! সবাই চাইলেও মিরাজ, শাওন, শান্তদের এতটুকু সে ইচ্ছা নেই। ঘরের পাশে প্রকৃতির এমন মায়াজাল বিছানো থাকলেও তাতে নাকি কারো মন নেই! যেন সামনে ফাইনাল পরীক্ষা।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনুশীলনে যেয়ে এমনই এক আবহাওয়া চোখে পড়ল। সবাই হোমওয়ার্কে ব্যস্ত। কারো কোনোদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। এমন অখণ্ড মনোযোগের কারণ স্পষ্ট। প্রতিপক্ষ নয়া বিস্ময় নামিবিয়া। যারা প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করেছে! তার আগের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকেও বড় ব্যবধানে হারায় দলটি।
বাংলাদেশের কাছেও হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটা ছিল ‘কিছুটা অনুমেয়’ ঘটনা। কিন্তু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের নামিবিয়া এভাবে ভড়কে দেবে, তা কে জানত!
অথচ আগের বিশ্বকাপে এই নামিবিয়া দলটি এতটা শক্তিশালী ছিল না। ওই স্কটল্যান্ডও তাদের হারিয়েছিল।
নামিবিয়ার এমন উত্থানে বাংলাদেশ দল তাই সতর্ক। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে এতটুকু ছাড় দিতে রাজি নয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আগামীকাল সকাল নয়টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচের আগে বাংলাদেশ শিবিরে অস্বস্তি বলতে সঞ্জিতের চলে যাওয়া। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ সতীর্থর জন্য মিরাজরা শিউরে উঠেছেন ঠিকই, কিন্তু থমকে যাননি। সঞ্জিতের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া জাতীয় দলের ক্রিকেটার জোবায়ের হোসেনের বন্ধু জনি হতাশ করেননি। গতকাল ১০ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। কালকের ম্যাচেও তার দিকে নজর থাকবে অনেকের। তবে তার আগে আরেকটা নাম ঘুরেফিরে উচ্চারিত হবে নামিবিয়া শিবিরে-নাজমুল হোসেন শান্ত। যুব ক্রিকেটে গতকালই যিনি সর্বোচ্চ রানের ইতিহাস গড়েছেন। পাকিস্তানের সামি আসলামের ১৬৯৫ রান টপকে গেছেন শতক হাঁকিয়ে। সবাইকে ছাড়িয়ে শান্ত এখন শিখরে। কাল থেকে তার নিজেকে ছাড়িয়ে আকাশ ছোঁয়ার দিন।
মন্তব্য চালু নেই