নানা গুণে অতুলনীয় লিচু

স্বাদে গন্ধে অনন্য লিচু ছোট বড় সবার কাছে খুবই প্রিয় একটি ফল। মধুমাস জৈষ্ঠ্য এলে দেশের প্রায় সব জায়গায় রসে ভরা টসটসে লিচুর দেখা মেলে। সুস্বাদু এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘সি’। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে পাবেন শর্করা ১৩.৬ গ্রাম, ক্যালরি ৬৬ কিলোগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৬.৫৩ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১.৩ গ্রাম, ফোলেট ১৪ মাইক্রোগ্রাম, সোডিয়াম ১ গ্রাম, পটাসিয়াম ১৭১ মিলি গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৩১ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩১ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন ‘সি’ ৩১ মিলিগ্রাম। শুধু স্বাদের যোগানদাতা নয়, নানা রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে লিচু অতুলনীয়। আসুন জেনে নেয়া যাক লিচুর উপকারী গুণ সম্পর্কে।

* লিচুতে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি থাকে, যা আমাদের শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।

* লিচুতে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার হজমে দারুনভাবে সহায়তা করে।

* মনোপোজ পরবর্তী নারীদের শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম সরবারহে লিচু খুবই উপকারী।

* লিচুর আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড শরীরে বিটা ক্যারোটিনসহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে।

* লিচু প্রচণ্ড ক্ষতিকর আলট্র্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

* লিচুতে থাকা নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন নামক ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স শরীরের জ্বালাপোড়া, দুর্বলতা দূর করে।

* লিচুতে থাকা ভিটামিন সি জ্বরঠোসা, জিহ্বার ঘা, জিহ্বার চামড়া ছিলে যাওয়া রোগ প্রতিরোধ করে।

* কচি লিচু শিশুদের বসন্ত রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

* কাশি, পেটব্যথা, টিউমার দমনে লিচু কার্যকর।

* লিচুতে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের হাড়, দাঁত, চুল, ত্বক, নখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।

* পোকামাকড়ে কামড়ালে লিচুর পাতার রস ব্যবহারে ভালো হয়।

সতর্কতা

লিচু গরম ফল। এটি বেশি খেলে পেট গরম হয়ে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পরিমিত পরিমাণ খাওয়া উচিৎ। এছাড়াও বেশি মিষ্টি লিচু অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের পরিহার করা উচিৎ।



মন্তব্য চালু নেই