নানার বাড়িতে এসে ধর্ষণের শিকার শিশু, খালাতো ভাই ও অটোরিক্সা চালক অাটক
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে এক শিশু প্রতিবেশী খালাতো ভাই ও অটোরিক্সা চালক দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ এই ধর্ষনের ঘটনার দায়ে ধর্ষক খালাতো ভাই বিপুল হোসেন (২১) ও অটোরিক্সা চালক সুলতানকে (৪৮) আটক করেছে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে মধুপুর থানায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের চানপুর রাবার বাগানের কাছে এক কলা বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের ঘটনায় আটক বিপুল ওই ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে এবং সুলতান ওরফে সুলতান শেখ একই গ্রামে মৃত ইমান আলী বাউলের বাড়িতে ঘর জামাই থেকে অটোরিক্সা চালান।
পুলিশ সূত্র জানায়, শিশুটি পার্শ্ববর্তী জামালপুর সদর উপজেলার তুলসীপুর পাকুল্ল্যা গ্রামের বাসিন্দা। গত এক মাস ধরে সে তার বাবার সাথে নানা বাড়ি মনতলায় অবস্থান করছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে নানার প্রতিবেশী সম্পর্কে খালাতো ভাই বিপুল রাবার বাগান দেখানোর নাম করে শিশুটিকে সবার অজান্তে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে সুলতানের অটোরিক্সা যোগে চানপুর রাবার বাগানের কাছে মজনু মিয়ার কলা বাগানে নিয়ে বিপুল ও সুলতান পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষকদ্বয় শিশুটিকে ঘটনা প্রকাশ করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এদিকে শিশুটিকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করলে বিপুলের সাথে অটোতে যাওয়ার কথা জানতে পারেন তারা। পরে, বাড়িতে ফিরলে শিশুটি বাবাকে এক পর্যায়ে বিষয়টি জানায়। এক এক করে অনেকে জেনে গেলে এলাকাবাসী ধর্ষক বিপুল ও সুলতানকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পরে, মধুপুর অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ( এস.আই) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মধুপুর উপজেলা সদর থেকে ২০ কি.মি. দূরে মনতলা গিয়ে আটকদের হেফাজতে নেয়। পুলিশ রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ ধর্ষিতা শিশুটিসহ তাদের থানায় নিয়ে আসে। পরে, মধুপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে শিশুটির প্রাথমিক চিকৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে শুক্রবার (১৭ মার্চ) মধুপুর থানায় মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, শিশুটির মেডিক্যাল চেক অাপসহ আইনগত সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই