নাতনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল নানার

নাতনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামে নৃসংশভাবে খুন হলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ছোট ভাই মিজানুর রহমান।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া নাতনি শ্রাবণী আক্তার তৃষাকে দীর্ঘ দিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থাকা প্রতিবেশী বখাটে যুবক আরিফুল ইসলাম আরিফ। বার বার সতর্ক করেও কোনো লাভ না হওয়ায় সোমবার আরিফের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান। পরে পুলিশ আরিফকে ধরে নিয়ে গেলেও ক্ষমতাসীনদের চাপে সমঝোতা করতে বাধ্য হন মজিবর রহমান। ফলে আরিফ থানা থেকে ছাড়া পেয়ে যায়।

পরিবারের অভিযোগ, ছাড়া পেয়েই মজিবরকে হত্যার পরিকল্পনা করে আরিফ। সোমবার রাতে এশার নামাজ শেষে দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মজিবর। পথে আরিফের বাড়ির সামনে যাওয়া মাত্রই তাদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এক ভাই দৌড়ে পালিয়ে গেলেও মজিবর ও মিজানুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মজিবর রহমান। আর মিজানুর রহমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

স্থানীয়রা জানান, একাধারে তিনি ফকিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, স্থানীয় মসজিদ ও গোরস্থান কমিটির সভাপতিসহ নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত।

ভেড়ামারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর ইসলাম খন্দকার জানান, ঘটনার পর থেকেই আরিফ ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক। পুলিশের দাবি, তারা ঘটনায় জড়িতদের ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছে। অভিযান চালানো হলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই