নাটোরে মৃতদেহ চুরির ভয়ে ঘরেই দাফন

নাটোর: জেলার লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে নিহত কৃষক হাফিজুল ইসলামের (২৬) মরদেহ চুরির ভয়ে নিজ ঘরেই দাফন করেছেন বাবা আতাউর রহমান ও স্বজনেরা।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঘরের মধ্যে কবর খনন করে মরদেহ দাফন করা হয়। এরপরই কবরের চারপাশ দিয়ে ইটের গাঁথনি দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে।

আগের দিন সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওয়ালিয়া খামারের মাঠে পেঁয়াজ তোলার সময় তিনি বজ্রপাতে নিহত হন। নিহত হাফিজুলের বাড়ি উপজেলার ওয়ালিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে।

ওয়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অানিছুর রহমান নিহতকে ঘরের মধ্যে কবর দেয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বজ্রপাতে হাফিজুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার মরদেহকে ঘিরে রটতে থাকে নানা গুজব। জনমনেও এই মরদেহ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে। ওয়ালিয়া এলাকার অনেক মানুষেরই ধারণা বজ্রপাতের কারণে মরদেহের আক্রান্ত একটি অংশ মূল্যবান ধাতবে পরিণত হয়। আর তাই মরদেহটি কেউ চুরি করে নিয়ে যেতে পারে।

এসব ধারনা থেকেই চুরির হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিহত হাফিজুলের লাশ দাফন করা হয় ঘরের মধ্যে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি অনেকের কাছেই হাস্যকর হলেও এ ঘটনায় সমগ্র লালপুর জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

নিহতের বাবা আতাউর রহমান জানান, গ্রামের অনেকেই বলাবলি করছে নিহত হাফিজুলের মরদেহ যদি সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়, তাহলে তার মরদেহটি রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যাবে। তাই যাতে ছেলের মরদেহ চুরি না হয়, সেজন্য নিজ ঘরেই কবর তৈরী করে মরদেহ দাফন করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই