নর-নারীর সাংসারিক বিচ্ছেদের কারন

বিয়ে দু’জন মানুষের মধ্যে এক অপূর্ব ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করে দেয়। কিন্তু বর্তমানে সবসয় দেখা যায় বিবাহ বিচ্ছেদ। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ অন্যতম৷ গোটা বিশ্বে বিবাহবিচ্ছেদের হার ক্রমবর্ধমান ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কারণগুলো:

অবিশ্বাস:
বিয়ের মূল ভিত্তি বিশ্বাস। বিয়ের মাধ্যমে দুইজন মানুষ আজীবন বিশ্বাসের সাথে ভালোবেসে একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি নিয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। কিন্তু যখনই একজন আরেক জনকে ঠকায়, বা কোনো কিছু গোপন করে তখনই নেমে আসে অবিশ্বাস। আর বিয়ে মতো এতো শক্তিশালী কিন্তু স্পর্শকাতর সম্পর্কে একবার অবিশ্বাস চলে তা বিচ্ছেদের রুপ নিতে বেশি সময় লাগে না।

অতিরিক্ত ঝগড়া:
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অতিরিক্ত ঝগড়া বিবাহবিচ্ছেদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ঝগড়ার সময় সাধারণত মানুষের মাথা ঠিক থাকে না। ফলে এ সময় তারা যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত ঝগড়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কও নষ্ট করে দেয়।

অবাস্তব প্রত্যাশা:
অবাস্তব প্রত্যাশা মানুষের যেকোনো সম্পর্ককেই নষ্ট করে দেয়। দাম্পত্য দুজনের সম্পর্ক, তাই গুরুত্ব দিতে হবে দুজনেরই চাওয়া পাওয়াকে। কিন্তু সম্পর্কে যখন কারো মধ্যে অবাস্তব কোনো প্রত্যাশার জন্ম নেয় তখনই হয় বিবাহবিচ্ছেদ।

অত্যাচার:
বিবাহবিচ্ছেদের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। পরস্পরকে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন দাম্পত্য জীবনকে কোরে তুলে দুর্বিসহ। বর্তমানে আমাদের দেশে এ কারনেই বেশি বিবাহবিচ্ছেদ হতে দেখা যাচ্ছে।

খুব অল্প বয়সে বিয়ে:
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের তথ্য জন্য অনুযায়ী, ‘প্রথম পনের বছরের মধ্যে বিয়ে হলে তা অর্ধেকের বেশি সময় টেকে না’। এ সময় তাদের বয়স খুব কম থাকে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে। তাছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথ তাদের চাহিদাও পরিবর্তিত হতে থাকে ফলে দেখা যায় বিবাহবিচ্ছেদ।



মন্তব্য চালু নেই