নর্তকীর অতৃপ্ত আত্মা আজও ঘুরে বেড়ায় এই দুর্গে

ইতিহাস তো বহু অজানা গল্পের সাক্ষী৷ বহু অজানা ঘটনা, বহু হিংসা এবং আত্মত্যাগের গল্প লেখা রয়েছে ইতিহাসের পাতায়৷ শুধুই কি বইয়ের পাতায় সীমিত রয়েছে ইতিহাসের অজানা তথ্য? না, ঐতিহাসিক স্থানগুলির প্রতিটি দেওয়াল, প্রতি ইট এখনও ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলে৷ প্রাচীন ফোর্ট, প্রাসাদ এবং রাজবাড়িগুলি যেন এক একটি মূর্তমান ইতিহাসের সাক্ষী৷

এমনই একটি ঐতিহাসিক দুর্গ হল ভারতের হায়দ্রাবাদের পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত গোলকুন্ডা ফোর্ট৷ বিখ্যাত কাকাতিয়াস সাম্রাজ্যে তৈরি হয়েছিল এই দুর্গ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের এই অঞ্চলে রয়েছে একাধিক

কয়লাখনি৷ বহু হীরের সন্ধান দিয়েছে এই অঞ্চল৷ শুধু তাই নয়, বিখ্যাত কোহিনুর হীরের সন্ধানও মিলেছিল এই অঞ্চলে৷

কিন্তু হীরের ঝলমল যেখানে রয়েছে, সেখানে লোভের ছায়া পড়বে না, এমন কি হতে পারে? শোনা যায়, এই গোলকুন্ডা ফোর্টও নাকি এমন লালসার শিকার৷ এমন কিছু ঘটেছিল এই ফোর্টে, যার জন্য এখনও ভৌতিক আবেশ রয়ে গিয়েছে এই ফোর্টে৷

শোনা যায়, বহুমূল্য মণি মানিক্যের পাশাপাশি এই দুর্গ নাকি এক নিবিড় প্রেম কাহিনীর সাক্ষী৷ নর্তকী তারামণি এবং আবদুল্লা কুতুব শাহ’র ভালবাসা আজও নাকি দুর্গের প্রতিটি স্তম্ভের জানা৷ শুধু তাই নয়, শোনা যায় এই প্রেম নাকি পরিণতি পায়নি৷ আর তারজন্য নাকি আজও নর্তকী তারামণির অতৃপ্ত আত্মা আজও দুর্গে ঘুরে বেড়ায়৷

শুধু তাই নয়, সন্ধ্যার পর এই দুর্গে বহু মানুষই অনেক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন৷ সূর্য ডুবলেই নাকি অদ্ভুত সব আওয়াজ ভেসে আসে এই দুর্গ থেকে৷ শুধু তাই নয়, বহু ভৌতিক অবয়বের দেখাও মেলে সেখানে৷ শোনা যায়, এই দুর্গে শুটিং করতে এসেও বহু অদ্ভূত পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন শুটিংয়ের কর্মীরা৷ যেই ঘটনার কোনও যুক্তি খুঁজে পাননি তাঁরা৷

সন্ধ্যা ৬ টার পর এই অঞ্চলে জন সাধারণের প্রবেশ বর্তমানে নিষিদ্ধ৷



মন্তব্য চালু নেই